মঙ্গলবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে আসা পাঁচ যাত্রীর কাছ থেকে পণ্যগুলো জব্দ করা হয়।
মইনুল খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ব্যাগেজ বেল্টসহ গ্রিন চ্যানেলে বিশেষ নজরদারি বজায় রাখে। তারা ৫ নম্বর বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহ করে স্ক্যানিং ফাঁকি দিয়ে দ্রুত গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করে চলে যাওয়ার সময় তাদের গতিরোধ করা হয়। পরবর্তীতে কাস্টমস হলে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তাদের সঙ্গে থাকা ৫টি লাগেজ খুলে এসব পণ্য উদ্বার করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সিগারেটের ওপর উচ্চ শুল্ক (প্রায় ৪৫০ শতাংশ) পরিহারের জন্যই এসব সিগারেট আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী সিগারেট প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ লেখা ব্যতিত বিদেশি সিগারেট, ওষধ শিল্প প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে বিদেশি ওষধ ও বিটিআরসির অনুমতি ছাড়া মেমরি কার্ড আমদানি করা যায় না।
পণ্যের শুল্ককরসহ জব্দ হওয়া পণ্যের মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। এসব পণ্যের বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে শুল্ক গোয়েন্দা কুয়ালালামপুর থেকে এমএইচ ১৯৬ ফ্লাইটে করে আসা ৬ ভারতীয় যাত্রীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯,২০১৭
এসজে/জিপি