নির্ধারিত ২০টি পয়েন্ট হচ্ছে- নতুন বাজার রূপসা বেড়িবাঁধ, ২ নং প্লাটিনাম রোড, জনতা হল ফুলবাড়ি গেট বাজার, খোঁড়া বস্তি, মিনাক্ষী সিনেমা হলের পাশে, চানমারি বাজার, চিত্রালী বাজার, আফিল জুট মিল বাজার, বসুপাড়া বাজার, নতুন বাজার, মিস্ত্রী পাড়া, মুজগুন্নি স্ট্যান্ডের মোড়, রায়ের মহল আছরের মোড়, কালি বাড়ি বাজার, শরিফ মোল্লার মোড়, বৈকালী বাজার, সঙ্গিতার মোড়, কুদির বটতলা, লবণচরা স্লুইস গেট সংলগ্ন মোক্তার সড়ক ও মানসী বিল্ডিং মোড়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিদ্ধ চালে অভ্যস্ত নগরবাসী ওএমএসের আতপ চালে অনীহা প্রকাশ করছেন।
প্রচণ্ড রোদের মধ্যে মানুষ দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে চাল কেনার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সামনের দু’একজন চাল নেওয়ার পরই ভিড় কমতে শুরু করে। যারা চাল না কিনে চলে যাচ্ছেন তারা জানিয়ে দেন, আতপ চাল কিনবেন না।
নতুন বাজার রূপসা বেড়িবাঁধে চাল কিনতে আসা আব্দুল্লাহ নামের এক ক্রেতা বলেন, আমাদের আতপ চালের ভাত খাওয়ার অভ্যাস নেই। তাই এ চাল কিনে কি করবো।
একটি মাছ কোম্পানির কর্মচারী আব্দুস সালাম বলেন, বেশির ভাগ এলাকার মানুষ এ চালের ভাত খায় না। কিন্তু এখানে সিদ্ধ চাল না থাকায় বাধ্য হয়ে আতপই নিতে হচ্ছে।
সচেতন নগরবাসী অনেকে বলছেন, ওএমএসে আতপ চাল বিক্রি করে সরকার চালের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে পারবে না।
ক্ষোভ আর আক্ষেপ নিয়ে অনেকে বলছেন, আতপ চালে ভালো পিঠা হয়। আতপ চাল কিনে উপকার হবে রাস্তার পাশে পিঠা বিক্রয়কারীদের।
তবে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বলছেন, চমৎকার সাড়া পাওয়া গেছে। আতপ চালটি মিনিকেট, বাসমতি চালের মতো। চালের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। উন্নতমানের চিকন চাল। হয়তো শতকরা দু’একজন ফিরে যাচ্ছে। তবে খুলনা, বাগেরহাট সাতক্ষীরা, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাটি এসব জেলার মানুষের আতপ চাল খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
এদিকে চাল বিক্রিতে অনিয়ম রোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি টিম মনিটরিং কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে।
জেলা খাদ্য অফিস জানিয়েছে, চাল বিক্রিতে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
এমআরএম/জেডএস