ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

৬৫১টি প্রতিমা নিয়ে শিকদার বাড়ির দুর্গোৎসব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
৬৫১টি প্রতিমা নিয়ে শিকদার বাড়ির দুর্গোৎসব চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি-ছবি-বাংলানিউজ

বাগেরহাট: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব দুর্গা পূজা। প্রতি বছরের মতো এ বছরও বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়িতে পূজা হবে।৬৫১টি দেবদেবী (প্রতিমা) নিয়ে চলছে এবারের আয়োজন।

প্রায় তিন একর জমি জুড়ে বসানো হয়েছে দেবদেবীকে। চার হাজার বছরের পুরানো পৌরাণিক কাহিনীকে তুলে ধরা হয়েছে দেবদেবীর মূর্তি দিয়ে।

প্রতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত, পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থী আসেন। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেও দর্শনার্থী আসেন।  

এরইমধ্যে শিকদার বাড়ির মন্দিরে প্রতিমা তৈরি, সাজসজ্জাসহ অন্য কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। পনেরজন প্রতিমা শিল্পীসহ ৩০-৩৫ জন কর্মী ছয় মাস ধরে নিয়মিত কাজ করছেন। শেষ সময়ে খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় শিকদার বাড়ি পূজা মণ্ডপের প্রধান ভাস্কর বিজয় কৃষ্ণ বাছারের সঙ্গে। তিনি বলেন, মণ্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ সুনিপুণভাবে করছি। আশা করি দর্শণার্থীদের খুবই পছন্দ হবে। প্রতিমার সব কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন মূল মন্দিরের প্রতিমাগুলোতে রংয়ের কাজ করলে আমাদের কাজ শেষ হয়। তিনি এটিই দেশের সব থেকে বড় পূজা মণ্ডপ বলে দাবি করেন।

চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি-ছবি-বাংলানিউজএসময় রং শিল্পী সঞ্জিব মণ্ডল বলেন, রংয়ের দিক থেকে সব থেকে ভালো করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

বাগেরহাট শিকদার বাড়ি দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দুলাল কৃষ্ণ শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, ২০১০ সালে ৩শ’ ১টি প্রতিমা নিয়ে এই মণ্ডপে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়। প্রতিমার সংখ্যা ও আড়ম্বরতার দিক থেকে বর্তমানে এটি দেশের বৃহৎ দুর্গা মণ্ডপে রূপ নিয়েছে। গত সাত বছরে এলাকার সব ধর্মের মানুষের উৎসাহ ও সহযোগিতা পেয়েছি আমরা। সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের জন্য এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

হাজার হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীর ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় শিকদার বাড়ি পূজা মণ্ডপের আয়োজকদের। তার কারণে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ মণ্ডপের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেন।  

চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি-ছবি-বাংলানিউজজেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, দুর্গোৎসবে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলার প্রতিটি পূজা মণ্ডপে কমপক্ষে একজন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী বেশি সংখ্যক পুলিশ সদস্যও মোতায়েন করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার-ভিডিপির সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম ও মোবাইল নম্বর প্রিন্ট করে প্রত্যেক মণ্ডপের গায়ে লাগানো থাকবে। এতে কোনো সমস্যা হলে দ্রুত পুলিশকে জানাতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
আরআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।