ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের ব্যাপারে সরকার পুরোপুরি সচেতন।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বিদেশি নাগরিকদের সম্মাননা প্রদান সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনো সহজ বা মামুলি কাজ নয়। এ বিচারে যেন আন্তর্জাতিক মান ও যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় সে বিষয়ে আমরা সচেতন আছি। ’
দীপু মনি বলেন, ‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দায়বদ্ধতা থেকেই সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। ’
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ বিচার সম্পন্ন করা জনগণেরও দাবি। স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলেও ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর এ বিচার বন্ধ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার এ বিচার সম্পন্ন করার ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিয়েছে।
বিদেশি নাগরিকদের সম্মাননা প্রদান সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে এ তালিকা চূড়ান্ত হবে।
তিনি জানান, সরকারের হাতে এখন একটি তালিকা রয়েছে। বিভিন্ন উৎস থেকে আরো নাম সংগ্রহ চলছে। সম্মাননা প্রদান সংক্রান্ত কমিটি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠেয় সভায় তালিকাটি আরো সমৃদ্ধ করবে।
প্রসঙ্গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে ১০৮ জন বিদেশির তালিকা তৈরি করা হয়। এখন সে তালিকা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নতুন নাম যোগ করা হচ্ছে।
সম্মাননা পাওয়ার তালিকায় পাকিস্তানি নাগরিকও থাকবেন উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যেসব নাগরিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন তাদেরকেই সম্মাননা দেওয়া হবে। ’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখন শুধুমাত্র বিদেশি নাগরিকদের সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও মুক্তিযুদ্ধে অনেক সংগঠন অবদান রেখেছে। সংগঠনগুলোর বিষয়ে পরে বিবেচনা করা হবে। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৫৫ ঘন্টা, ২১ আগস্ট ২০১০