ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী টানতে গিয়ে একেকটি ট্রেনের বিলম্বও হচ্ছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।
এরপরও বহু যাত্রীর অভিযোগ, হাতে টিকিট নিয়েও ট্রেনের ভেতরে যেতে পারেননি তারা।
বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল থেকে আসা সব ট্রেনই যাত্রীদের চাপে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এগোচ্ছে। ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী উঠছেন এসব ট্রেনে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় গতি সীমিত করে নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে। সেতুর ওপর ট্রেন আটকে যাওয়ার মতো অবস্থা হলে যখন-তখন যাত্রী নামিয়ে দিতে হচ্ছে ছাদ থেকে। খুব ধীরগতি মানা হচ্ছে সেখানে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ট্রেন পরিচালনা সূত্র জানায়, শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এসব কারণে প্রতিটি ট্রেনের শিডিউল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঢাকার দিকে আসা ট্রেনগুলোতে উত্তরাঞ্চলের বিপুল যাত্রীচাপ থাকায় প্রতিটি স্টেশনে দীর্ঘ বিরতিও দিতে হচ্ছে। ফলে কমলাপুরে পৌঁছাতে অনেক বিলম্ব করছে।
দুপুর দেড়টার দিকে সূত্রটি জানায়, লালমনি এক্সপ্রেস ৫ ঘণ্টা দেরিতে বামনডাঙ্গা স্টেশনে প্রবেশ করেছে মাত্র। দ্রুতযান এক্সপ্রেস পার্বতীপুরই ছাড়তে পারেনি। এটির শিডিউলেও ৩ ঘণ্টা দেরি হয়েছে।
এর আগে সকাল ৯টায় কমলাপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীচাপে ট্রেনটি ঢাকাতেই পৌঁছে নির্ধারিত সময়ের ৫ ঘণ্টা দেরি করে। দুপুর ২টার পরে ট্রেনটি ঢাকা থেকে আবার রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
দিনাজপুর থেকে একতা এক্সপ্রেসও ৫ ঘণ্টা দেরি করে ঢাকায় প্রবেশ করেছে বেলা সোয়া ১২টায়। ফলে ফের ছাড়তেও দেরি হয়েছে। চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সাড়ে ৪ ঘণ্টা দেরি করে ঢাকায় ঢুকেছে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রতবতী জানান, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ট্রেনগুলোর গতি এখন সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৭
এসএ/এএসআর