ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘মায়ানমারের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের সমস্যা হচ্ছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭
‘মায়ানমারের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের সমস্যা হচ্ছে’  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুমিত নাকানডালার সাক্ষাৎ

ঢাকা: মায়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মায়ানমার সরকার যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের সমস্যা হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন- (বিমসটেক) এর বিদায়ী মহাসচিব সুমিত নাকানডালা।  

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আলোচনায় মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি উঠে আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এসব হামলা (বিদ্রোহীদের হামলা) আমরা কখনোই সমর্থন করি না। তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যেভাবে প্রতিক্রিয়া  দেখাচ্ছে, তাতে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

গত ২৪ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলার পর সেখানে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করে। রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। জাতিসংঘের হিসেবে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নতুন করে সোয়া লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে।  

কয়েক দশক ধরে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংকটে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানালেও সাড়া দেয়নি দেশটি, তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এসব মানুষকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে চায় না।  

সন্ত্রাসকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস নির্মূলে সব দেশের এক সঙ্গে কাজ করা উচিত।

এ অঞ্চলের উন্নয়নে বাংলাদেশকে বিমসটেককে গুরুত্ব দিচ্ছে জান‍ান প্রধানমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য এ অঞ্চলকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত করা।  ‍

দায়িত্বপালনকালে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান বিমসটেকের বিদায়ী মহাসচিব সুমিত নাকানডালা।

কৃষিতে উন্নয়নের জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিদায়ী মহাসচিব।

১৯৯৭ সালে বিমসটেক গঠিত হয়। শুরুতে বাংলাদশ-ভারত-শ্রীলঙ্কা-থাইল্যান্ড থাকলেও পরে মায়ানমার, নেপাল ও ভুটান এ জোটে যোগ দেয়।  

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবহন ও যোগাযোগ, পর্যটন, মৎস্য, কৃষি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ ও আঞ্চলিক অপরাধ দমন, এবং জলবায়ু পরিবর্তন খাতে জোর দেয় বিমসটেক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭
এমইউএম/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।