ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চোখে ধোঁয়াশা দেখছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৭
চোখে ধোঁয়াশা দেখছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাইবান্ধা: গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেশি দামে কোরবানির পশুর চামড়া কিনে লোকসানের মুখে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা এখন চোখে ধোঁয়াশা দেখছেন।

একদিকে লবণের দাম বেশি, অন্যদিকে ট্যানারি মালিকরা দাম বেধে দেয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন এ শিল্পের ব্যবসায়ীরা।

জেলার মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গরুর চামড়া ৮শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা দরে কিনেছেন।

এছাড়া খাসির চামড়া কিনেছেন ১শ’ থেকে ৩শ’ টাকা দরে। সেই চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার পর ট্যানারি মালিকরা অর্ধেক দাম হাঁকাচ্ছেন। এতে করে লোকসানের মুখে পড়তে হবে ব্যবসায়ীদের।

৬ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কালিবাড়ি হাটে চামড়া কেনাবেচা শুরু হবে। এ বছর এ হাটে চামড়া বেচা-কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। তবে আন্তর্জাতিক বাজার খারাপ ও ট্যানারি মালিকদের বেধে দেয়া দামসহ নানা কারণে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নাও হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

গাইবান্ধার মৌসুমী ব্যবসায়ী সফিজল হক বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিন থেকে সোমবার পর্যন্ত গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গরুর চামড়া ৮শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা ও খাসির চামড়া ১শ’ থেকে ৩শ’ টাকা করে কিনেছি। এরপর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার পর কালিবাড়ী হাটে এনেছি। কিন্তু এখন ট্যানারি মালিকসহ বিভিন্ন মহাজন দাম করছেন অর্ধেক। এ দামে চামড়া বিক্রি করলে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাকে।

আরেক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার কোরবানির ঈদে ৪শ’টি গরুর চামড়া ৮শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা দরে কিনেছি। এরপর লবণ লাগানোর পর পলাশবাড়ী হাটে তুলেছি। চামড়া ব্যবসায়ীরা দেখছেন। তবে তারা যে দাম হাঁকছেন, সে দরে চামড়া বিক্রি করলে অনেকটাই লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

পলাশবাড়ী উপজেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর চামড়ার দাম কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন। তাছাড়া লবণের দাম বৃদ্ধি ও বিনিয়োগের পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চামড়া বেচা-কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ বাঁধাগ্রস্থ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, হাটে প্রচুর গরু-ছাগলের চামড়া আমদানি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে কেনাবেচা শুরু হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা হাটে চামড়া নিয়ে এসেছেন। এ হাটে ঢাকার ট্যানারি মালিকসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার ব্যবসায়ীরা এ হাটে চামড়া কেনাবেচা করে থাকেন। তবে চামড়ার মূল্য বেশি হলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হতেন।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) কাক ডাকা ভোর থেকে পলাশবাড়ীর চামড়ার হাট বসবে। উত্তরাঞ্চলের আট জেলা ছাড়াও জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চামড়া ব্যবসায়ীদের মিলনমেলায় পরিণত হবে এ হাট।

পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বাংলানিউজকে জানান, হাটের নিরাপত্তায় পুলিশের অতিরিক্ত টিম কাজ করবে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।