প্রতিবছরের মতো এবারো ট্যানারি মালিকদের দুই সংগঠন বাংলাদেশ প্রস্তুত চামড়া, চামড়া পণ্য ও জুতা রপ্তানিকারক সমিতি (বিএফএলএলএফইএ) ও বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) মিলে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এবার ঢাকা ও ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৪০-৫০ টাকা, মহিষের ৩৫ টাকা, খাসি ২০-২৫ টাকা, বকরির চামড়া ১৫-২০ টাকা হারে নির্ধারণ করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম নামে এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর এক সঙ্গে তিনজন মিলে ব্যবসা করেছি। তখন লোকসান হওয়ায় এবার আমি নিজেই করছি। গত বছর প্রতি বর্গফুট চামড়া ৬০-৬৫ টাকায় কিনে ওই দামেই বিক্রি করতে হয়েছে। মাঝখান থেকে যাতায়াত ও লেবার খরচ নিজের পকেট থেকে দিতে হয়েছে। এবার চামড়ার দাম আরো কম। কোরবানিদাতারা এত কম দামে বিক্রি করতে চান না। তবে গত বছরের তুলনায় এবার অনেক কম চামড়া কেনা হয়েছে। তুবু দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়।
হাসান নামে আরো এক ব্যবসায়ী বলেন, বছর বছর দাম কমলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় চামড়া আড়ৎদাররা। নিজেরা লাভের আশায় কম দামে চামড়া কিনে যদি সেই দামে বিক্রি করতে হয় তাহলে লোকসানে পড়তে হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরো সর্তক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কোরবানিদাতা গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় চামড়া দাম অনেক কম বলছে। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা ও কম আসছে। সারাদিনে মাত্র দুই জন ব্যবসায়ী চামড়ার দাম বলেছেন। বাধ্য হয়েই কম দামে বিক্রি করতে হয়ছে।
সাভারের রিল্যান্স ট্যানারির মহাব্যবস্থাপক সোহেল রানা বাংলানিউজকে জানান, হাজারীবাগ থেকে সাভারের ট্যানারি শিল্প জোনে আসতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে সে হিসেবে বিবেচনা করেই এবারে দাম একটু কম ধরা হয়েছে। সব কারখানাই অনেক টাকা ব্যয় করেছে। সব মিলিয়ে চামড়া কেনার মত তেমন অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জমা নেই। তাই ব্যবসায়ীরা মিলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ব্যবসায়ী আড়ৎদার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কিনবে নির্ধারিত দামে। এছাড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যে দামে ক্রয় করে সেই দামে বিক্রির জন্য লোকসানে পড়ে। তাই সঠিক প্রক্রিয়া শেষে কারখানায় যোগাযোগ করা হলে অবশ্যই সেগুলো ক্রয় করবে। এতে করে তাদের লোকসানে পড়তে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৭
এনটি