এসব মৌসুমী ব্যবসায়ী গরুর চামড়া কিনছেন ৮শ থেকে ১২শ’ টাকায়। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ১২শ থেকে ১৮ ’শ টাকায়।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা মহিষের চামড়া কিনছেন ৫-৬শ টাকায়। আর ছাগলের চামড়া কিনছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস। এ ছাড়াও গরুর মাথার চামড়া ৩০-৫০ টাকায় কিনছেন।
শনিবার (০২ সেপ্টম্বর) রাজধানীর হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কোরবানির পশুর চামড়া দোকানের সামনে কিংবা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিনছেন। তবে এই সময় ট্যানারি মালিকদের চামড়া কিনতে দেখা যায়নি।
এসব ব্যবসায়ীরা প্রতিফুট গরুর চামড়া ৪০-৪৫ টাকা দরে কিনছেন। ফলে ২০ ফুটের নিচে গরুর চামড়া কিনছেন ৮শ থেকে ৯শ টাকায়। আর সব চেয়ে সুন্দর ভাল চামড়া যেগুলো ২৫-২৬ ফুট সেইগুলো কিনছেন ১২’শ-১৩’শ টাকা পিস ধরে। গত বছর এইরকম চামড়া ১৮’শ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গরুর তুলনায় মহিষ আর ছাগলের চামড়া কিনছেন একেবারে সস্তা দরে।
হাজারীবাগ বাজারে লালু কসাই বাংলানিউজকে বলেন, এবার চামড়ার দাম অনেক কম। তিনি বলেন, প্রায় ১০০ ফুট হবে এমন চামড়া এবার ৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি। অথচ গত বছর ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
তিনি বলেন, এবার হাজারীবাগের বেশির ভাগ চামড়া ব্যবসায়ী ট্যানারী বন্ধ রেখেছেন। আর কিছু ব্যবসায়ী সাভার থেকেই চামড়া কিনছেন। এছাড়াও লবনের দাম বেশি। ফলে চামড়ার দাম কম।
তিনি বলেন, বেশি দামে চামড়া কিনে কি টাকা পানিতে ফেলবো ?
লালু কসাই বলেন, আগামী ১মাস পর কিছু কারখানা ব্যবসা চালু করবে তাই আমরা ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনেছি। তিনি বলেন, অন্য বছর মৌসুমী ব্যবসায়ীদের জন্য এই জায়গায় বসা যেতো না। কিন্তু এবার সব জায়গা দেখেন খালি পড়ে আছে।
হাজারীবাগ বাজার মোড়ে গরু ও ছাগলের চামড়া কিনছেন মৌসুমী ব্যবসায়ী মাজেদ হোসেন। ২০ বছর ধরে চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এই ব্যবসায়ী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এছর আমরা গরুর চামড়া ৮’শ থেকে সর্বোচ্চ ১৩’শ টাকা পিস কিনছি। সপ্তাহ ১০ দিন পর লবণ ভেঙে ট্যানারী মালিকদের কাছে বিক্রি করবো।
তিনি বলেন, আমি এবার ১২শ’ থেকে ২ হাজার পিছ মাল কিনবো।
‘বাংলা টেন’ ট্যানারীতে সাব কন্ট্রাকে ব্যবসা করেন মোহাম্মদ আইয়ুব। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার আশা এবছর ১০ হাজার পিস চামড়া সংগ্রহ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৭
এমএফআই/বিএস