দেশের মধ্যে বড় ঈদের জামাতের আয়োজক জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে গোর-এ শহীদ ময়দানে দাঁড়িয়ে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, শুভেচ্ছা কার্ডে গোর-এ শহীদ ঈদগাহ ময়দানের ছবি ব্যবহার করার জন্য দিনাজপুরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
ইকবালুর রহমান বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশে এত বড় মিনার সংবলিত ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এখানে গত রোজার ঈদে সাড়ে চার লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। শনিবার কোরবানি ঈদে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করবে বলে আশা করছি। ব্যবস্থা থাকছে আরও বেশি মানুষের যা শোলাকিয়ার চেয়েও বড়।
একসঙ্গে নামাজ আদায়ে জেলা শহরের মহল্লাভিত্তিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঈদগাহ মাঠ পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বড় জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে সম্মত হয়েছেন তারা। দিনাজপুর জেলা শহরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে নির্মাণ করা হয়েছে এ উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ।
হুইপ ইকবালুর বলেন, এ মাঠটি সেনাবাহিনীর সম্পত্তি। প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকায় তার সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় এটি বাস্তবায়ন করা গেছে।
তিনি জানান, ৫২ গম্বুজের এই ঈদগাহ মাঠে একসঙ্গে পাঁচ লক্ষাধিক মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। এই ঈদগাহ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা।
দিনাজপুর সদর আসনের এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এই বড় ঈদ জামাতের উদ্যোগ নিয়েছেন। এবারও তার নেতৃত্বে এখানে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় নামাজের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে ২০১৫ সালে এই ঈদগাহের নির্মাণকাজ শুরু হয়। সবগুলি মিনার ও গম্বুজের প্রস্থ ৫১৬ ফুট। সৌন্দর্য বাড়াতে গম্বুজগুলো মার্বেল পাথরে মুড়ে দেওয়াসহ রং-বেরঙের বৈদ্যুতিক বাতি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। খতিব যেখানে দাঁড়িয়ে বয়ান করেন সেই মেহরাবের উচ্চতা ৫০ ফুট। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। দুটি গেটের উচ্চতা ৩০ ফুট।
নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে শত বছরের স্টেশন (অফিসার্স) ক্লাব অন্য প্রান্তে সরিয়ে দিতে প্রাথমিক পর্যায়ে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মাঠের খানাখন্দ ভরাট করা হয়েছে বালু দিয়ে। এখন মাঠে ঘাসও গজিয়েছে।
ইকবালুর রহিম আরও জানান, ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যদের সমন্বয় করা হয়েছে। ঈদগাহের চারপাশে মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির পর জামাতে প্রবেশ করানো হবে মুসল্লিদের। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরাও নিরাপত্তায় সক্রিয় থাকবেন মাঠে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৭
কেজেড/এমজেএফ