বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রণয় কুমার দাশ এ আদেশ দেন।
এ মামলার বাকি পাঁচ আসামি খালাস পেয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে তাহিরপুর উপজেলার জয়নাল আবেদীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ছিল ওয়াহিদ্দুজ্জামান শিপলু। আসামিদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল শিপলুর। ওই সময়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। আর ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন শিপলু। এ নিয়ে কামরুজ্জামান কামরুল (বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান) ও তার সহযোগীদের সঙ্গে শিপলুর বিরোধ চরমে ওঠে। একপর্যায়ে শিপলুকে হত্যার হুমকি দিতেন তারা। পরে ২০০২ সালের ২০ মার্চ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় তাকে। তিনদিন পর ২৩ মার্চ শিপলুর মা আমিরুন নেছা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরে ওসি শরিফ উদ্দিনসহ কয়েক জন কিছুদিন জেলে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আসেন।
এ বছরের ২৭ আগস্ট সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ওইদিন সবাইকে কারাগারে পাঠিয়ে ৩১ আগস্ট রায় ঘোষণার তারিখ দেন আদালত।
বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আপ্তাব উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট জহুর আলী। আসামি পক্ষের ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমাইয়ুন মঞ্জুর চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট ফারুক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৭
এসআই