প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে আমরা তাদের (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু এটা আমাদের জন্য বিশাল সমস্যা।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিযার ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস দেখা করতে এলে এ অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যাকে একটি সিরিয়াস ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করেন এলিস ওয়েলস।
রোহিঙ্গা বিষয়ে মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের পলিটিক্যাল ডায়ালগ হচ্ছে কিনা জানতে চান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোহিঙ্গা বিষয়ে মায়ানমারের সঙ্গে কথা-বার্তা বলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এলিস ওয়েলস।
সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন তিনি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোনো দেশের বিরুদ্ধে আমাদের দেশে মাটি ব্যবহার করতে দেবো না।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিশেষ করে জিডিপি ৭.২৪ অর্জনের প্রশংসা করেন এলিস ওয়েলস।
বাংলাদেশে গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিডিয়া স্বাধীন ভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে। মিডিয়া সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাড়ে সাত’শ নিউজ পেপার। আগে একটা রাষ্ট্রীয় টিভি ছিলো। আমরা ৪৪টির অনুমতি দিয়েছি, যার মধ্যে ২৪টা চলছে।
সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফেরত দেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
এমইউএম/এসএইচ