সোমবার (আগস্ট ২৮) সন্ধ্যা ৭ টায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় ফেরি বনলতায় বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় নজরুল ইসলামের।
গরুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করার কারণেই এমন ভোগান্তি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একই ফেরিতে থাকা সূর্যমুখী পরিবহনের সুপারভাইজার আমিনুর রহমান জানান, এখন ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ একেবারেই কম। তারপর আবার ঘাট এলাকায় ভোগান্তি। যে কারণে অনেক যাত্রী দীর্ঘ সময় অপেক্ষা না করে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এসে বাস থেকে নেমে যান। পরে ফেরি বা লঞ্চ পারাপার হয়ে তারা ঢাকায় চলে যান। এতে করে তাদেরকে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আফজাল হোসেন নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, বিভিন্ন শো রুমে শাড়ি কাপড় বিক্রির জন্য ঢাকা থেকে ফরিদপুরে নিয়মিত যাতায়াত করেন তিনি। তবে এবারের তার ব্যবসায়িক কাজের অধিকাংশ সময় পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুট পারাপারে ব্যয় হয়েছে বলে জানান তিনি। এতে করে ব্যবসায়িকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি।
দৌলতদিয়া ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল জোবায়েদ জানান, দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রচুর সংখ্যক গরুবাহী ট্রাক ঢাকায় যাচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই ট্রাকগুলোকে নৌরুট পারাপারের সুযোগ করে দেয়ার কারণে যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকে অতিরিক্ত সময় ঘাট এলাকায় থাকতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
আরআই