শনিবার (২৬ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের পক্ষে হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় এই জিডি (নং-১৬.০৩.০০০০.০০৪.০৬.০০১.১৫-১৬১৩) করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, কিছু হজ এজেন্সি যাত্রীদের পাসপোর্ট-ভিসা দিলেও তাদের টিকিট দেয়নি বলে যাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ফৌজদারী অপরাধ আইনে মামলা, লাইসেন্স বাতিল, অর্থদণ্ডসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন।
জিডিতে নিদির্ষ্ট কোনো এজেন্সির নাম উল্লেখ না থাকলেও হজ অফিসের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে রোববার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত ১০টিরও বেশি এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত এজেন্সিগুলো হলো সাউথ এশিয়ান ওভারসিজ (লাইসেন্স নং-১২২২), এম এম ট্রাভেলস(লাইসেন্স নং-১৩৬৬), গুলশান এ মোহাম্মাদিয়া ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং-৭৯৮), সানজিদ ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং-১২৯), নিবিড় হজ্জ ওমরাহ অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং-১০৮০), হাসান ওভারসিজ (লাইসেন্স নং-৮১৩), এমসিও ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স নং-১০১৪), ইন্টার সালফ ট্রাভেলস লিমিটেড এমসিও ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স নং-৯৯১) এবং ইকো এভিয়েশন’র (লাইসেন্স নং-১৩৪৮)।
এছাড়াও আল-বালাদ (লাইসেন্স নং-৬৩৩) এবং মদিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল’র (লাইসেন্স নং-১০৪১) সহ আরো কয়েকটি এজেন্সির বিরুদ্ধেও হজযাত্রীদের টিকিট না দিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৬ আগস্ট) হজ ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন এজেন্সির আড়াই শ’র বেশি হজযাত্রী টিকেটের অভাবে হজে যেতে পারছেন না।
ওই দিন ইকো এভিয়েশন’র (লাইসেন্স নং-১৩৪৮) ১৯৩ জন, আল-বালাদ’র (লাইসেন্স নং-৬৩৩) ২১ জন, মদিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল’র (লাইসেন্স নং-১০৪১) ৩০-৩৫জন, সানজিদ ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং-১২৯) ১৮ জন হজযাত্রী টিকিট পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এনিয়ে বাংলানিউজে ‘হজে যেতে না পারলে বাড়ি ফিরবো না... ’ শিরোনামে একটি সংবাদও প্রকাশিত হয়। তবে রোববার (২৭ আগস্ট) এসকল যাত্রীদের অধিকাংশই টিকিট পেয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন যাত্রীরা।
এদিকে এখনো কিছু সংখ্যাক যাত্রী টিকিট পাননি বলে দাবি করেন। এর মধ্যে রোববার দুপুর ৩টার দিকে মদিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল’র (লাইসেন্স নং-১০৪১) ১০ জন যাত্রী ভিসা পাসপোর্ট নিয়ে টিকিটের অপেক্ষায় ছিলেন বলে জানা যায়।
এবিষয়ে হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা ভিসা-পাসপোর্ট পেয়েছেন প্রত্যেকে হজে যেতে পারবেন।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, যারা প্রতারণা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম মন্ত্রণালয় যে ব্যবস্থা নিবেন আমরা তা বাস্তবায়নে সহয়তা করবো। এছাড়া হাবের পক্ষ থেকেও মন্ত্রণালয়ে এসকল এজেন্সিদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে।
** হজে যেতে না পারলে বাড়ি ফিরবো না...
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৭
এসআইজে/বিএস