পাশাপাশি রয়েছে সেনা ও র্যাব সদস্যরা। এছাড়া সাদা পোশাকধারী পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালের দিকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
দু’দিন আগ থেকেই সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজসহ আশেপাশে ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে সব ধরনের দোকানপাট তুলে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে প্রধান প্রধান সড়কের দু’পাশ দিয়ে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, কৃষকদের মাঝে ধানের চারা বিতরণ, কলেজ হলরুমে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে এসব দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়া শহর থেকে গাবতলী উপজেলা হয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলায় সড়ক পথে আসতে হয়। সড়ক পথের বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বিভিন্ন ধরনের যানবাহন তল্লাশী করে তাদের অনুষ্ঠানস্থলের দিকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
প্রধান সড়কসহ আশেপাশের সড়কগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এসব সড়ক বা বিভিন্ন সড়কের মুখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যদের অত্যন্ত সতর্কতার সাথে টহল দিতে দেখা যায়।
জেলার মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকা, সড়ক ও মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৭
এমবিএইচ/