ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জমি দখলের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৭
জমি দখলের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামের জমি দখল করে চারটি দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (রামগতি) ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। উপজেলার পূর্ব চর কলাকোপা গ্রামের (সৈয়দনগর) ওই জমিতে দোকান নির্মাণ করা হয়।

আদালত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের তহশিলদারকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) উপজেলার পূর্ব চরসীতা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তিনি চরবাদাম ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। সরকার তাকে ৯৯-২০০০ সালে ৪৮৪ নম্বর খতিয়ানে ৩৪ নম্বর দাগে ৩২ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেয়। এরপর থেকে তিনি জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন।  

গত ২৩ আগস্ট (বুধবার) ওই জমিটির একাংশে রামগতি-সোনাপুর সড়কের পাশে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেকান্তর আলম, তার বাবা সৈয়দ আহমেদ, ভাতিজা যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম ও তার সহযোগীদের নিয়ে রাতারাতি চারটি টিনসেড দোকান ঘর নির্মাণ করে। এনিয়ে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধার বন্দোবস্ত পাওয়া জমিটির ওপর স্থানীয় সৈয়দ আহমেদের কুনজর পড়ে। এরপর তারা একাধিকবার দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ২০০৫ সালে ওই বন্দোবস্তটি সঠিক নয় বলে সৈয়দ আহমেদ জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এটি এখন বিচারাধীন রয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধার নাতি মুশফিক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, জমিটি আমিই তদারকি করি। জোরপূর্বক সৈয়দ আহমেদ ও তার লোকজন আমাদের জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। এ নিয়ে আমি ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও আমাদের জমি বুঝিয়ে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করাছি।

এ ব্যাপারে সৈয়দ আহমেদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে তার ছেলে চর পোঁড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) সেকান্তর আলম বাংলানিউজকে বলেন, তাজুল ইসলাম জমি বন্দোবস্ত নিয়েছে তা সত্য। তবে এটি আমাদের মালিকানা জমি। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আমাদের জমিতে দোকান করেছি।

রামগতি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শহিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, দোকান নির্মাণ করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। উভয়পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৭
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad