শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেল থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর চন্দ্রা থেকে কোনাবাড়ী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির পানি জমে খানাখন্দ হওয়ায় যান চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ মেরামত কাজ করার সময় যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
বাস চালক মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে কালিয়াকৈরের সফিপুর পর্যন্ত আসতে। একদিকে খানাখন্দ অন্যদিকে মেরামত কাজ। অনেক স্থানে বাস বন্ধ করে বসে থাকতে হচ্ছে।
ট্রাক চালক খায়রুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে হাইওয়ে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না। তারা যদি সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতেন তাহলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতো না।
শুক্রবার সকালে চন্দ্রা এলাকায় যানজট পরিস্থিতি দেখতে এসে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ঈদ উপলক্ষে গাজীপুরে যানজট নিরসন করতে এক হাজার ২শ’ পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। গত ঈদের মতো এ ঈদেও যানজট হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসেন সরকার জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী থেকে সফিপুর পর্যন্ত যানজট হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে সড়ক মেরামত করা ও সড়কে খানাখন্দ থাকায় যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। তবে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫,২০১৭
এসআর/বিএস