শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ভোরে উপজেলার চরসীতা গ্রামের এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে বরগুনা পাঠানো হয়।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে রামগতি উপজেলার চরসীতা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে বরগুনার পুলিশ তাকে রামগতি থেকে নিয়ে যায়।
এদিকে, বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এলআইসি শাখার দিক নির্দেশনায়, লক্ষীপুর জেলা পুলিশের সহায়তায় টানা ছয়দিন অভিযান চালিয়ে আসামি সুমন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যমতে বেতাগী থেকে বাদীর দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গত ১৭ আগস্ট বিদ্যালয় ছুটির পর বরগুনার বেতাগী উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে (৩০) বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এসময় ওই শিক্ষিকার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে আটকে রাখা হয়। ওইদিন রাতেই ছয় যুবককে আসামি করে বেতাগী থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষিকা।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে লক্ষ্মীপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানববন্ধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৭
জেডএস/আরএ