শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ছুটির দিনে সকাল থেকেই গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে ঘাট এলাকায়।
সরেজমিন দেখা যায়, ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি।
শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী বাংলানিউজকে জানান, ঈদে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার করতে ২টি রো রো ফেরি যোগ হয়ে এই রুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ফেরিতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে ঘাট এলাকায় ৪ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে, এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক এবং বাস, মাইক্রোবাসের সংখ্যাই বেশি। তবে পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পারাপারে ভোগান্তির স্বীকার যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট থেকে ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে পার হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে গাড়িতে, ফেরি লোড হয়ে ছাড়ার পর আরেকটি ফেরি আসতেও বেশি সময় লাগছে।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই শরজিৎ কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, লাইফ জ্যাকেট ছাড়া স্পিডবোট চলাচল বন্ধে ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঘাট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে, তারা বিষয়টি দেখছে।
এছাড়া ঈদে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে কিছুটা চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ২৫ আগস্ট, ২০১৭
আরএ