ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

নাটোরে দেড় লাখ পশু কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
নাটোরে দেড় লাখ পশু কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নাটোর: আসন্ন ঈদুল আজহায় নাটোরে প্রায় দেড় লাখ পশু কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

সেখানে চাহিদার তুলনায় বিভিন্ন খামারের মোটা তাজাকরণের মাধ্যমে মোট দুই লাখ ৩৭ হাজার পাঁচ'শটি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় এবার উদ্বৃত্ত থাকবে প্রায় ৬০ হাজার কোরবানির পশু।

যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এছাড়া এসব পশু বিক্রির জন্য জেলায় ১৩টি স্থানে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হবে এবং নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে জেলার সাত উপজেলা ও আট পৌরসভার ৪৫২টি স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
 
নাটোর জেলা প্রাণসিম্পদ বিভাগ ও খামারি সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট বড় মিলে ১২ হাজার  পশুর খামার রয়েছে। এতে বিক্রির উপযোগী মজুদ পশুর সংখ্যা হচ্ছে ষাঁড় ৩৫ হাজার ৫৬৬টি, বলদ ৪ হাজার ৫২৬ টি, গাভী (বকনা) ৫ হাজার ৬৬২টি, ছাগল ১ লাখ ৫৩ হাজার, ভেড়া ১৭ হাজার ৭৭৬টি ও  মহিষ রয়েছে মাত্র ৭৫টি (লালপুর)।

নাটোর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলতাব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কোরবানির পশু বিক্রির জন্য জেলায় ১৩টি পশুর হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বড় হাট হচ্ছে সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ও হয়বতপুর, বড়াইগ্রামের মৌখারা হাট, নলডাঙ্গা, মোমিনপুর ও সিংড়াহাট। জেলার সবচেয়ে বড় কোরবানরি পশুর হাট বসে রোববার তেবাড়িয়া আর বড়াইগ্রামের মৌখাড়া বৃহস্পতিবার আর নলডাঙ্গা বসে শনিবার ও মঙ্গলবার।

পশুরহাট গুলোতে এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে কেনা-বেচা। এছাড়া ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ক্রেতারা কিছু কিছু খামার থেকে কিনছেন বলে জানা গেছে।
 
সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকার রেকাত আলীর খামারে এবারে কোরবানির জন্য দেশীয় ও উলুবাড়িয়া, নেপালী, হরিয়ানা জাতের ৪২টি গরু রয়েছে। গরুগুলো দেখতে লাল, সাদা, কালো বর্ণের এবং এক একটি লম্বায় ৯ ফুট ও উচ্চতায় ৬ ফুটেরও বেশি হয়েছে।

আসন্ন কোরবানির হাটে তুলবেন এসব গরুগুলো। তবে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতা আসছেন এবং দাম হাঁকছেন। গরুগুলো দেখতে হৃষ্টপুষ্ট ও সুন্দর হওয়ায় আশপাশ থেকে দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।

তিনি দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রাণসিম্পদ বিভাগের পরার্মশে পুষ্টিকর খাবার, খৈল, গম, ভূষি, ছোলাসহ সুবজ ঘাস খাইয়ে খুব সহজেই পশু মোটা তাজাকরণ করেছেন। তারমতে অনেক খামারি গরু মোটাতাজাকরণ করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন।

এছাড়া বড়াইগ্রামের মৌখাড়া, গুরুদাসপুর উপজেলার খামারিরা তাদের কোরবানির পশু প্রস্তুত রেখেছেন।

প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা জানান, কোরবানরি পশুর হাট গুলোতে ভেটেনারী সার্জনের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম কাজ করবে। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচতেনতার জন্য জেলা প্রাণসিম্পদ বিভাগ থেকে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

খাদ্যে ভেজাল না দেওয়ার জন্য ফুড মালিকদের সঙ্গে বৈঠকসহ অসুস্থ পশু যাতে বাজারে না আসে সে জন্য নানা পদক্ষপে গ্রহণ করা হয়েছে। এবার জেলায় পশু মোটাতাজা করার জন্য স্টরয়েড প্রয়োগ করা হয়নি বলেও জানান এই পশু সম্পদ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
বিএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।