লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের স্কুল শিক্ষক আবুল বাশার বাদশা পরম যত্নে বড় করছেন এ গরুটি। আদর করে নাম রেখেছেন 'ভোলা দা'।
মালিকের অনুপস্থিতিতে কারো শক্তি নেই ভোলা দা'র ঘরে প্রবেশ করে। তবে মালিকের সামনে কেউ তার পিঠে উঠলেও রা নেই ভোলা দা'র। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভোলার খাবার তৈরি করে স্কুলে যান। ফিরে এসে ভোলা দা'র পরিচর্যা করেন স্কুল শিক্ষক বাদশা।
ভোলা দা'র মালিক আবুল বাশার বাদশা বাংলানিউজ জানান, বাড়ির গাভী ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল এই গরুটিকে প্রসব করে। তার নাম রাখা হয় ভোলা দা। এক বছর অন্য গরুর সাথে থাকলেও গত বছর ঈদুল আজহার পরে ভোলা দাকে আলাদা ঘর দেয়া হয়। ভোলা দা'র জন্য রয়েছে সৌর পাখা ও বাতি। খাবারও দিতে হয় সময় মতো। ভোর ৬টাতেই তাকে সকালের খাবার দিতে হবে। কোন কারণে বিলম্ব হলে চিৎকার জুড়ে দেয়। প্রতিদিন সকালেই হয় তার গোসল।
এসব গরু আদর ভালবাসা বেশী পছন্দ করে, যোগ করেন মালিক আবুল বাশার বাদশা।
ভোলা দা'র খাদ্য তালিকায় রয়েছে খড়, কাঁচা ঘাস, ধানের গুড়া, ভুষি, ফিড, খৈল ও পানি। কোন ইনজেকশন পায়নি ভোলা দা। খাদ্য খাওয়াতে খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। গো খাদ্যের দাম বেশ চড়া হওয়ায় গরু পালনে এখন খরচ বেড়েছে।
এবার ঈদের বাজারে বিক্রি হবে আদরের ভোলা দা। তাই বেপারীরা কিনতে ভিড় জমাচ্ছে ওই বাড়িতে। দাম হাঁকানো হয়েছে দুই লাখ টাকা। প্রায় ৮ মণ ওজনের ভোলা দা'র দাম উঠেছে এক লাখ ৩০/৪০ হাজার টাকা। তবে এক লাখ ৬০/৭০ হাজার হলে ক্রেতার হাতে ভোলা দাকে তুলে দেবেন বাদশা। ক্রেতা ছাড়াও বড় গরু দেখতে অনেকেই প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন ওই বাড়িতে। ভোলা দাকে দেখে যারা গরু পালনের কৌশল জানতে চান, তাদেরকে পরামর্শ দেন বাদশা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
জেডএম/