তবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে যথাক্রমে আনিসুল হক এবং সাঈদ খোকন দায়িত্ব নেওয়ার পর কোরবানির পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে গত দুই ঈদে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজধানী থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারিত হয়েছে।
এবার আরো অল্প সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের চিন্তা করছে ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি। দুই কর্পোরেশনের ১ হাজার ১৭৪টি স্পটে প্রায় ৫ লাখ পশু কোরবানি হবে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ২ লাখ ৭৫ হাজার আর উত্তরে ২ লাখ ২১ হাজার পশু।
ডিএসসিসি থেকে ৬২৫টি স্পট এবং ডিএনসিসি’র ৫৪৯টি স্পট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে পশু কোরবানির জন্য। এর বাইরে কেউ কোরবানি করলে তাকে নিজ দায়িত্বে সিটি কর্পোরেশনের গাড়িতে বর্জ্য তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা।
পশু বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসি’র প্রস্তুত সম্পর্কে মেয়র সাঈদ খোকন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো। সেভাবে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
দ্রুত কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসি’র নিয়মিত কর্মচারীসহ ১১ হাজার ২০০ শ্রমিক কাজ করবে ঈদের দিন দুপুর থেকে। আর ডিএনসিসি’র নিয়মিত কর্মচারী ১ হাজার ৯৯৮ জন এর সঙ্গে ঠিকাদারদের রয়েছে ১ হাজার ৭৫ জন শ্রমিক।
ডিএসসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করতে প্রস্তুত আছি। সময় মেয়র ঘোষণা করবেন। তবে আমরা ধারণা করছি ৩৬ ঘণ্টা বা এর আশপাশের সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে।
অন্যদিকে ডিএনসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক কমোডর আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করছি গত বছরের চাইতে কম সময়ের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ হবে। গত বছর ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মেয়র আনিসুল হক।
প্রতি বছরের মত এবারও পশু কোরবানির জন্য পলিব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হবে। এছাড়া ফিনাইল দিয়ে পরিষ্কার করে দেওয়া হবে জবাই করার স্থান।
কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পলিব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার কোরবানিদাতাকে দেওয়া হবে। মানুষ সহযোগিতা করলে ৩৬ ঘণ্টার আগেই বর্জ্য অপসারণ সম্ভব মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
এসএম/আরআই