ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিসিসিতে পশু কোরবানির জন্য ১৭৪ স্থান নির্ধারণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
বিসিসিতে পশু কোরবানির জন্য ১৭৪ স্থান নির্ধারণ

বরিশাল: আসান্ন ঈদুল আজহায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৩০টি ওয়ার্ডে পশু জবাইয়ের জন্য ১৭৪টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের ঘোষিত ওয়ার্ড ভিত্তিক কোরবানির পশু জবাইয়ের এসব নির্ধারিত স্থানের মধ্যে, সর্বোনিম্ন ২ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দু'টি করে এবং সর্বোচ্চ ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ তথ্য জনগণকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি হ্যান্ডবিল, মাইকিং করার প্রস্তুতিও হাতে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও আসন্ন জুমআ’র নামাযে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মসজিদগুলোর ইমামদের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেবেন।

বিসিসি সূত্র জানায়, পরিবেশ দূষণরোধে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো। এর ধারাবাহিকতায় গত দুই বছর ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থান নির্ধারণ করা হয়। এবারেও সেইভাবে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পশু কোরবানির হার বেড়ে যাওয়ায় এবারে গত দুই বছরের থেকে নির্ধারিত স্থানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

এই কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরকে সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে সহ-সভাপতি করে ৩০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলোতে সর্বোনিম্ন ৮ সদস্য ও সর্বোচ্চ ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ সদস্য রয়েছে।

এছাড়াও জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি করে নির্ধারিত স্থানকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সাজ-সজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভেটেরেনারী সার্জন ডা. রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দিনে দিনে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির হার বাড়ছে। এজন্য এবারে নির্ধারিত স্থানের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এবারেও নির্ধারিত স্থান ঘিরে বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থায় বস্তা ও ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হবে।

তিনি বলেন, নির্ধারিত স্থানের বাহিরে যেমন নিজের বাড়ির আঙিনায় কিংবা মাঠে পশু কোরবানি দেওয়ার ওপরে কোনো নিষেধ নেই। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পশু কোরবানি দাতাদের নিজ দায়িত্বে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। আবার তারা বর্জ্য ব্যাগ ভরে নির্ধারিত স্থানে রাখলে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তা নিয়ে যাবে। নয়তো বর্জ্য ফেলে রেখে পরিবেশ দূষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নির্দিষ্টস্থানে পশু জবাই করা হলে বিসিসির কর্মীরা দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করে পরিবেশ সুন্দর এবং দূষণমুক্ত রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল।

২০১৫ সালে ৬১টি এবং গত বছর ২০১৬ সালে নগরে ১৪০টি স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করেছিলো সিটি করপোরেশন। প্রথম বছরে নির্ধারিত স্থানে ২০ শতাংশ কোরবানির পশু জবাই হলেও দ্বিতীয় বছরে তা বেড়ে ৬০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়।

বাংলা‌দেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এমএস/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।