রোববার (২০ আগস্ট) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক এ এ জুলফিকার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার পূর্ব পইলগ্রাম প্রকাশ জালালপুরের মৃত মখদ্দস আলীর ছেলে জয়নুল আহমদ (৪০), একই গ্রামের কালাম আহমদ উরফে কামাল (২৬), সোনাই মিয়ার ছেলে আবদুল বাসিত (৩৬), পার্শ্ববর্তী বরইআইল গ্রামের মো. আব্দুল মকিতের ছেলে হাসনু মিয়া (৩৭) ও কানাইঘাটের বড়দেশ গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে সেলিম উদ্দিন (২৫)।
মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জয়নুলের ছোট ভাই ফখরুল ইসলাম ওরফে মাতুফের (৩৮) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯(৩) ধারায় এই পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একলাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেন বিচারক।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৫ মে গভীর রাতে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারে সিঁধ কেটে (মাটি গর্ত করে) ঘরের প্রবেশ করে ঘুমন্ত দুই বোনকে বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বখাটেরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় সৌর বিদ্যুতের আলোয় জয়নুলকে চেনেন ধর্ষিত দুই বোনের বাবা।
পরদিন জয়নুলের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে বিয়ানীবাজার থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা (নং-১৭(০৫)১৪) দায়ের করেন দুই তরুণীর বাবা। পুলিশ জয়নুল ও তার ছোট ভাই ফখরুল কালাম, হাসনু ও সেলিমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আদালতে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে বিয়ানীবাজার থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর আদালতে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগ গঠন হয়। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
এনইউ/এএ