ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দুপুরেই ফাঁকা কমলাপুর স্টেশন!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
দুপুরেই ফাঁকা কমলাপুর স্টেশন! সকালে ভিড় থাকলেও দুপুরেেই ফাঁকা কমলাপুর স্টেশন- ছবি- দিপু মালাকার

ঢাকা: ঈদের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে ছিলো উপচেপড়া ভিড়। টিকিট প্রত্যাশীদের পদচারণায় পুরো স্টেশনে ছিলে না তিল ধারনের ঠাঁই। তবে বেলা গড়িয়ে দুপুরেই ফাঁকা হয়ে গেছে স্টেশন। কারণ অগ্রিম টিকিট শেষ।

অগ্রিম টিকিট বিক্রির ২য় দিনে সর্বমোট ২৩টি কাউন্টার থেকে ২২ হাজার ৪৯৬টি টিকিট ইস্যুর জন্য নির্ধারিত ছিলো।  

সকাল ৮টার দিকে একযোগে ২৩টি কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার আধঘণ্টা পরই এসি কামরার টিকিট শেষ হয়ে যায় বলে জানান কর্মকর্তারা।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, কাউন্টার খোলার ৩০ মিনিটের মধ্যে এসি কামরার টিকিট কোথায় গেলো?
 
বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। বেলা ১০টার দিকে পা রাখার উপায় ছিল না কমলাপুর রেলস্টেশনে।
 
তবে দুপুর গড়াতেই কমতে থাকে স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। কেউ টিকিট পেয়ে আনন্দে আবার কেউ না পেয়ে কষ্টে ও ক্ষোভে স্টেশন ত্যাগ করেন। দুপুর দেড়টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনের চিত্র স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায়।
 
দুপুরের পর স্টেশন ফাঁকা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়াতে হলেও মোটামুটি সুশৃঙ্খলভাবে টিকিট দেওয়ায় দুপুরের দিকে ভিড় কমে গেছে। তবে এর মানে এই নয় যে, সবাই টিকিট পেয়েছেন। এর মধ্যে অনেক যাত্রী আছেন যারা টিকিট না পেয়ে রাগে-ক্ষোভে স্টেশন ত্যাগ করেছেন।
 
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো যাত্রী শাহ নুসরাত বাংলানিউজকে বলেন, এখন ভিড় অনেক কমে গেছে। অনেকে টিকিট পেয়েছেন, আবার অনেকে পাইনি। তবে বেশ কিছু ট্রেনের টিকিটের বিতরণ দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী চাপ কিছু কমেছে। এখন অপেক্ষায় আছি নিজের টিকিটের জন্য।  
 
দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেসের ৪টি টিকিট পেয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী লোকমান হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রেলওয়ের সিদ্ধান্তে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮ জন। ফলে স্ত্রী ও আমাকে আলাদা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। এটা খুবই বিরক্তিকর বিষয়।
 
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, দুপুরে দিকে যাত্রী চাপ কিছুটা কমে গেছে। তবে এদের মধ্যে অধিকাংশ যাত্রীই টিকিট পেয়েছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে রোববার ফের আসতে হবে। আমদের সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাত্রীদের হাতে টিকিট তুলে দেওয়ার জন্য।  
 
তিনি বলেন, কমলাপুর থেকে প্রতিদিন ৩১টি ট্রেনের ২২ হাজার ৪শ’ ৯৬টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ অনলাইন, ৫ শতাংশ ভিআইপি, ৫ শতাংশ রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ। বাকি ৬৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টার থেকে সরাসরি যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।  
 
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য শনিবার বিক্রি হচ্ছে ২৮ আগস্টের টিকিট। ক্রমান্বয়ে ২০, ২১ ও ২২ আগস্ট যথাক্রমে ২৯, ৩০ ও ৩১ আগস্টের টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এমএসি/জেডএস       

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।