বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রুয়েটের বঙ্গবন্ধু হলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপগণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নির্ঝর আহমেদকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলে মারধর করে রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তপুর অনুসারী কয়েকজন কর্মী।
তারা ঘটনাস্থলে এলে তপুর অনুসারীদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। পরে তপুর অনুসারীরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়। এসময় রাবি ছাত্রলীগকর্মী মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম হীরাকে আটক করে মারধোরের পর ‘শিবির' ঠাউরে পুলিশে দেন রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তপু। গুরুতর আহত অবস্থায় নির্ঝরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই রুয়েটে একটু সমস্যা হয়েছিল। আমি আর সভাপতি ক্যাম্পাসে আসার সময় বহিরাগত কয়েকজন আমাদের চাকু নিয়ে ধাওয়া করে। আমরাও পাল্টা ধাওয়া দেই। এক পর্যায়ে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরে আমরা পুলিশে দিয়েছি। ’
আটক হীরা রাবি ছাত্রলীগের কর্মী এ তথ্য জানালে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ কর্মী হলে আরেকজন ছাত্রলীগ কর্মীর উপর চাকু নিয়ে হামলা করতে আসতো না। তাই তাকে শিবিরকর্মী হিসেবেই পুলিশে দেয়া হয়েছে। ’
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এমন কিছু ঘটেছে আমি জানতাম না। খোঁজ নিচ্ছি। যদি এমন কিছু ঘটে তবে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘একজনকে শিবির সন্দেহে পুলিশে দিয়েছে রুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। ’
বাংলাদেশ সময়:০৬১৬, আগস্ট ১৮, ২০১৭
জেএম/