বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা রিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ূন কবীর বাংলানিউজকে জানান, ভোরে বৈরান নদীর মুশুদ্দি কসাইবাড়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের কেরামজানী, পশ্চিমপাড়া, টইয়াপাড়া, চরপাড়া, ইসপিঞ্জারপুর, পাঁচপটল, কাকনিআটাসহ ৭নং ওয়ার্ডের সম্পূর্ণ এলাকা, মুশুদ্দি ইউনিয়নের মুশুদ্দি উত্তরপাড়া, কামারপাড়া, বন্দচরপাড়া, ঝুপনা, খালপাড়া, সয়া, ভাতকুড়া, বীরতারা, ঘুনাপাড়াসহ প্রায় ২০টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজ, আফাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, মুশুদ্দি এফতেদায়ী মাদ্রাসা ও মসজিদসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানের পানিতে ভাসছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, ঝিনাই নদীর কেরামজানীর বাঁধে বেশ কয়েক জায়গায় ফাঁটল ধরে ভাঙনের উপক্রম হয়ে পড়েছে।
ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকার্তা ডা. সাজ্জাত হোসেন শিমুল ও মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আমিনুর রসুল জাকি‘র নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম বন্যা দুর্গত এলাকায় কাজ করছে।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আরা রিনি বাংলানিউজকে জানান, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এনটি