রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে খুলনা বিএমএ ভবনে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত প্রথম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পাঠক্রমের সনদ বিতরণ ও ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন নির্ঘন্ট গ্রন্থমালা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর একথা বলেন।
তিনি বলেন, হলি আর্টিজানে হামলা মানুষ নামের দানবদের পক্ষেই সম্ভব।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে যারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন, তারা অনেকেই ছিলেন নিরক্ষর, দরিদ্র এবং সাধারণ মানুষ। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এইসব তরুণেরা মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেই অনুপ্রেরণার উৎস ছিল একটি মানুষের বজ্রকন্ঠে উচ্চারিত বাণী। স্বাধীন বাংলা বেতারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য সেদিন উদগ্রীব হয়ে থেকেছে দেশের প্রতিটি মানুষ।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতাকামীদের এই প্রতিরোধ ব্যূহ ভাঙতে পাকিস্তানি দোসররা যে গণহত্যা আর ধবংসযজ্ঞ চালিয়েছে তার চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে দেশের গ্রামেগঞ্জে সবখানে। এটাকে সামনে আনতে হবে, জাতিকে জানাতে হবে তার ইতিহাস। এই গণহত্যার বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের থেকে সমাজকে বাঁচাতে মানুষের মধ্যে যে সুকুমার বৃত্তি রয়েছে তাকে জাগিয়ে তুলতে হবে।
তিনি অতিথি এবং অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, শুধু পুঁথিগত বিদ্যার মাধ্যমে এটা সম্ভব না, এজন্য সন্তানদের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি মুনতাসির মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রাস্টের সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে তিনি গবেষণা কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩০ জনকে সনদ প্রদান করেন।
পরে মন্ত্রী নির্মাণাধীন খুলনা বিভাগীয় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবন পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এমআরএম/আরআর