এতে কুড়িগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধরলার পানির স্রোতে কুড়িগ্রাম সদরের কাঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাংটুর ঘাট ও ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়ার চরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়।
আর কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কের কমপক্ষে ১০/১২টি স্থানে সড়কে হাটু থেকে কোমর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বন্ধ রয়েছে জেলার সঙ্গে সবধরনের যানবাহন চলাচল। দুর্ভোগকে সঙ্গী করে পায়ে হেঁটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ওই এসব এলাকার মানুষজন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ধরলা নদীর পানির স্রোতে কাঁঠালবাড়ী ও ছিনাই ইউনিয়নের দু’টি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কের উপর দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বাংলানিউজকে বলেন, দুর্গত এলাকার মানুষকে উদ্ধারের কাজ শুরু করেছি আমরা।
যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১৩, ২০১৭
এমএ/