মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সকাল ১১টা দিকে রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক জাহিদ হোসেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান দুপুরে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামি বাদশা ও নাহিদ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আজকালের মধ্যেই তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ৩১ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওই তরুণীকে রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়ার গ্রিণ গার্ডেন রেস্টহাউসে ডেকে এনে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পর ওই রাতেই তরুণী শাহ মখদুম থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পর দিন ভোরে দু’জনকে গ্রেফতার করে।
এরা হলো -ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের (ইউআইটিএস) রাজশাহী শাখার সাবেক শিক্ষক সামশুল আলম বাদশা (৩৫) এবং রাজশাহীর গোরহাঙ্গা এলাকার ইজিটাস কম্পিউটার দোকানের মালিক আবু ফায়েজ নাহিদ (৩০)।
এদের মধ্যে বাদশার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল গ্রামে। আর নাহিদের বাড়ি একই উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে। তারা দুজনেই রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক শিক্ষক বাদশার সঙ্গে ওই তরুণীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে ফোনেও কথা হয়। পরবর্তীতে বাদশার বন্ধু নাহিদের সঙ্গেও ওই তরুণীর ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়। চিকিৎসা করানোর জন্য ওই তরুণী গত সোমবার (৩১ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে আসেন। চিকিৎসা শেষে বাদশা তাকে নাহিদের কম্পিউটারের দোকানে ডেকে নেন।
ওই তরুণী সেখানে গেলে দুপুরে খাওয়ার কথা বলে তাকে ওই বাগান বাড়িতে নিয়ে যায় তারা। এরপর সেখানে একটি কক্ষে রেখে প্রথমে বাদশা ও পরে নাহিদ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
আদালতের অনুমতিতে ওই তরুণী এখন নিজ হেফাজতে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
এসএস/এসএইচ