ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বামীবাগে আনসার ক্যাম্পের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১০

ঢাকা: সূত্রাপুরের স্বামীবাগ এলাকায় যে আনসার ক্যাম্পের সদস্যরা জনতার উপর বেপরোয়া গুলি চালিয়েছেন সেই ক্যাম্পটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

যথাযথ নিয়মের তোয়াক্কা না করে এক আনসার কর্মকর্তা ও একটি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আট মাস আগে ক্যাম্পটি স্থাপন করা হয়।

চারদিকে বস্তির ঝুপরি ঘর, ঘনবসতির মধ্যেই একখন্ড জমি পাহারা দিতে আনসার ক্যাম্পটি স্থাপনের পর থেকেই এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কিন্তু স্থানীয়দের বাধা, আপত্তিকে পাত্তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সূত্রাপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তারাও এর সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন, আনসার ক্যাম্পটি স্থাপনের ব্যাপারে থানাকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। ক্যাম্পের আনসারদের নিয়ে প্রায়ই জনতার সঙ্গে ঝক্কি ঝামেলার সৃষ্টি হয়। তাই প্রায়ই থানা পুলিশকে আনসার রক্ষার জন্য পাহারায় বসতে হয়।

তবে আনসার ও ভিডিপি’র ঢাকা জেলা অ্যাডজুটেন্ট ঈশা খান আলী রাজা বাঙালি জানান, আনসার ক্যাম্প স্থাপনের জন্য থানা পুলিশকে জানানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

হাইকোর্টের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ক্যাম্পটি স্থাপন হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে জনতার উপরে গুলিবর্ষণে ব্যবহৃত বন্দুক জব্দ রেখে আটক তিন আনসার সদস্যকে সূত্রাপুর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছেড়ে দেওয়া আনসার সদস্যরা হলেন মাহবুব, রেজাউল করিম ও ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার আক্কাস আলী।

শুক্রবার আনসার সদস্যদের হামলা, মারধর ও বেপরোয়া গুলিবর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ রিপনের ভাই সাইফুল ইসলাম আনসার সদস্য, জমি মালিকসহ সাত জনকে আসামি করে সূত্রাপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আটক আনসার প্লাটুন কমান্ডার আক্কাছ আলী পাল্টা মামলা করেছেন এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। তিনি আনসার সদস্যদের উপর হামলা, ভাংচুর করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে থানা থেকে ছাড়া পেয়ে আনসার সদস্যরা ক্যাম্পে ফিরে আসায় এলাকায় আবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিুব্ধ বাসিন্দারা অভিযুক্ত আনসার সদস্যদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
   
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন মোল্লা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি’কে জানান, অভিযুক্ত আনসার সদস্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদের আবার আটক করা হবে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যানুযায়ী শুক্রবার গুলি করার মতো উত্তেজনাকর কোনো পরিস্থিতি ছিল না। তবে কেনো আনসার সদস্যরা বিনা উস্কানিতে গুলি চালিয়েছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ২১ আগস্ট, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।