শুক্রবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে তাদেরকে জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায়ের আদালতে হাজির করে নতুন করে রিমান্ডের আবেদন জানাবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, তুফান সরকার, কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি ও সহযোগী মুন্না শেখের রিমান্ড আজ (শুক্রবার) শেষ হচ্ছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বগুড়া শহর শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক (বহিস্কৃত) তুফান সরকার সদ্য এসএসসি পাস করা মেয়েটিকে কলেজে ভর্তিতে সহায়তার কথা বলে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে গত ১৭ জুলাই ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিচার-সালিশের নামে ডেকে নিয়ে গত ২৮ জুলাই বিকেলে বগুড়া পৌরসভার ৪, ৫, ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির চকসূত্রাপুর এলাকার বাসায় অমানবিক নির্যাতন ও মারধরের পর মা-মেয়ের চুল কেটে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। ধর্ষক তুফান কাউন্সিলরের ছোট বোন জামাই।
নির্যাতিতা মায়ের করা ওই মামলায় তুফান সরকার ও নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ১০ আসামির মধ্যে ৯ জনকে ও এজাহারের বাইরে জড়িত সন্দেহে আরো ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামি শিমুল পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিরা হচ্ছেন- রুমকির মা রুমি বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা, সহযোগী মুন্না শেখ, আলী আজম দিপু, রুপম হোসেন, আতিকুর রহমান ও গাড়িচালক জিতু। এজাহারের বাইরে গ্রেফতার হয়েছেন রুমকির বাবা জামিলুর রহমান রুনু ও মাথা ন্যাড়াকারী নাপিত জীবন রবিদাস।
তাদের মধ্যে কাউন্সিলর রুমকিকে চারদিন, তুফান সরকারকে তিন দফায় সাতদিন ও তার সহযোগী মুন্না শেখকে দু’দফায় দু’দিন করে চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
তুফানের সহযোগী দীপু ও রুপম, স্ত্রী আশা ও শাশুড়ি রুমি বেগমকে দু’দফায় তিনদিন করে এবং গাড়িচালক জিতু ও শ্বশুর রুনুকে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দু’দিনের রিমান্ড শেষে তুফানের সহযোগী আতিক ও নাপিত জীবন রবিদাস দোষ স্বীকার করে একই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তারাও কারাগারে আছেন।
০১ আগস্ট নিজের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে একই আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মেয়েটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
এমবিএইচ/এএসআর