বুধবার (০২ আগস্ট) বিকেলে জেলা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় বিভিন্ন মেয়াদে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ন্যাড়া করা নাপিত জীবন কুমার দোষ স্বীকার করে একই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
নতুন করে রিমান্ডে নেওয়া চারজনের মধ্যে তুফান সরকার ও তার সহযোগী মুন্না শেখের দু’দিন করে এবং তুফানের স্ত্রী আশা খাতুন ও শাশুড়ী রুমি বেগমের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক (বহিস্কৃত) তুফানসহ ৯ জনকে আদালতে হাজির করেন। ওই ৯ জনের মধ্যে নাপিত জীবন কুমার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তাই তাকে বাদ দিয়ে অপর ৮জনের প্রত্যেকের পুনরায় ৭দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক তুফান ও তার সহযোগী মুন্না এবং স্ত্রী ও শাশুরির রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার অপর আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির চকসুত্রাপুর এলাকারবাসায় সদ্য এসএসসি পাস করা মেয়েটি ধর্ষণ ও সালিশের নামে মা-মেয়ের ওপর অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
এমবিএইচ/এসএইচ