সোমবার (৩১ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
এর আগে, গত রোববার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় বাড্ডার আদর্শ নগর এলাকার ৩৬০ নম্বর বাসা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন বলেন, রোববার বিকেল ৫ টার দিকে শিশু তানহা আসামি শিপনের ঘরের সামনে দিয়ে পাশের বাসায় যাচ্ছিলো। এ সময় খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে টান দিয়ে ঘরের ভেতরে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে শিপন। শিশুটি চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে তাকে হত্যা করে সে। এরপর মরদেহ ওই বাসার বাথরুমে ফেলে রাখে। পরে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ লোপাট করতে শিপন তার ঘরের রক্তাক্ত বিছানার চাদর, গায়ের গেঞ্জি ও লুঙ্গি বালতিতে ভিজিয়ে রাখে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিপন শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
আব্দুল বাতেন আরও বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আসামি শিপন একটি ডাকাতি মামলার আসামি। সে এই মামলায় পাঁচ বছর জেলও খেটেছে। এক বছর আগে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে দিনমজুরের কাজ শুরু করে। তার স্ত্রী একজন গার্মেন্টস কর্মী। শিপনের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
** শিশু তানহার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
এসজেএ/আরআই