ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এ রুটের যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন মহল থেকে বারবার অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
প্রতিদিন বরগুনা থেকে বরিশালে গিয়ে কাজ সেরে আবার সঠিক সময়ে ফিরতে বিআরটিসি বাসে চড়েন অনেক যাত্রী। কিন্তু ইঞ্জিন খারাপ থাকায় পথে ৪-৫ বার বিকল হয়ে যায়। ফলে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ও ফিরতে পারছেন না যাত্রীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিসি’র একজন স্টাফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বহু বছর ধরে বরগুনা-বরিশাল রুটে চলা তিনটি বাসেরই (নম্বর ২৩/২০, ১৮/৯২ ও ২১/৮৮) বেহালদশা। ফলে পথে চলতে আমরা যেমন কষ্ট করি, তেমনি বিড়ম্বনায় পড়েন যাত্রীরাও’।
বিআরটিসি’র বরগুনা বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, তিনটি বাসেরই বেশিরভাগ জানালায় গ্লাস নেই। যেগুলোতে আছে, সেগুলোও ভাঙা-চোরা, বেধে রাখা হয়েছে দড়ি দিয়ে। প্রত্যেকটি টায়ারে গ্যাটিস মেরে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চালানো হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, পথে প্রায়ই চাকা পাংচার হয়। চলন্ত অবস্থায় বাসের ইঞ্জিন থেকে পুরো রাস্তায় মবিল পড়তে থাকে। ভাঙা থাকায় পা মুড়িয়ে সিটে বসতে হয়।
বাসের ছাদও ফুটো। বর্ষা মৌসুমে ভেতরে বৃষ্টির পানি পড়ে। ফলে বাসের ভেতরেই ছাতা খুলে বসতে হয় যাত্রীদের। কাছে ছাতা না থাকলে ভিজতে ভিজতেই বরগুনা বা বরিশালে পৌঁছাতে হয়।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বরিশাল থেকে বাস ছাড়ার পরেই দেখি, চলন্ত অবস্থায় আমার সিট নড়ছে। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। হেলপারকে বলায় তার মন্তব্য ছিলো, আমরা কি করবো? কর্তৃপক্ষ যে গাড়ি দেবে, সে গাড়িতেই আমাদের ডিউটি করতে হবে। আপনারা কর্তৃপক্ষকে বলুন, এ রুটে নতুন গাড়ি দিতে’।
বিআরটিসি’র বরিশাল ডিপো ম্যানেজার কামরুজ্জামান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বরগুনায় যে বাসগুলো চলছে, সেগুলো খুব ভালো। আর এসব অভিযোগ আমাদের কোনো স্টাফ দেননি’।
প্রতিদিন তিনটি বাস থেকে কতো টাকা সরকারি খাতে জমা হয়?- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা নেই’।
বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নুরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বরগুনা-বরিশাল রুটে বিআরটিসি বাসের অবস্থা একদম নাজুক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিআরটিসি’র চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে জানাবো, যেন অবিলম্বে বরগুনায় নতুন বাস দেওয়া হয়’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
এএসআর