যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশ তার দায় হিসেবে এমনটা ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন এখানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করে দিতে একবারও আসেনি।
নিয়মিত এ ফ্লাইওভার ব্যবহাকারীদের অভিযোগ, বৃষ্টি মৌসুমের শুরু থেকেই কুড়িল ও বনানী ফ্লাইওভারের গোড়ায় পানি জমে জলবদ্ধতা স্থায়ী রুপ নিলেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এগিয়ে আসেনি।
দেশের সবচেয়ে ভিআইপি এ সড়কপথে এখন থৈ থৈ পানি মাড়িয়ে ফ্লাইওভার চড়ে গাড়ি। আবার অনেকেই পানির নিচে খাদ আছে কি-না তা নিশ্চিত হতে পারেন না। এ কারণে ফ্লাইওভারের রেলিং ঘেঁষে গাড়ি ওপরে উঠতে গিয়ে যানজট লেগে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, হাঁটু পানিতে ডুবেছে ফ্লাইওভার গোড়ায় অংশ। পানি সরে যাওয়ার জন্য একটি ড্রেন পাইপ রয়েছে, কিন্তু তাতে পানি ঠিকমতো সরছে না। ড্রেনটির পেছনের অংশে যেখানে পানি গড়িয়ে পড়ার কথা সেটির মুখ বন্ধ।
এ কারণে পানি জমে ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ সাইনবোর্ড দিয়ে গাড়ি চালকের ভয় দূর করতে চেয়েছে। কিন্তু পানি সরিয়ে দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করে দিতে আসছে না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
এখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আসাদ বাংলানিউজকে জানান, জলাবদ্ধতা কমে গেলে সাইনর্বোডটি সরিয়ে নেওয়া হবে। পানি থাকায় লোকজন গাড়ি নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। ফ্লাইওভারে উঠতে গিয়ে অনেকে থেমে যাচ্ছেন- এ কারণে এটি লাগানো হয়েছে।
আবার অনেকে ট্রাফিক পুলিশের এমন সাইনবোর্ডকে হাস্যকর বলে মনে করেছেন। এ পথে চলাচলকারীরা জানান, এখানে জলাবদ্ধতা যে দীর্ঘদিনের এবং রাস্তাটি কি পরিমাণে যে ডুবেছে তা এ সাইনবোর্ড দেখলে বোঝা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
এসএ/জেডএস