ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিএফএল বিতরণ শুরু: অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১০

ঢাকা: রাজধানীসহ দেশের ২৭টি জেলায় সরকারিভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সিএফএল বাল্ব বিরতণ শুরু হয়েছে।

তবে আজ শনিবার বিতরণ শুরুর প্রথম দিনেই অনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে।



রাজধানীতে সকাল সাড়ে নয়টায় পুরান ঢাকার নারিন্দার এএম হামিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক এবং মিরপুর-১ বশিরউদ্দিন মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে ডিপিডিসি একটি পাইলট প্রকল্পের অধীনে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ২৩ হাজার ৫ শ’ সিএফএল বাল্ব বিতরণ করে। বিদ্যুৎ বিভাগ আশা করছে, প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে অন্তত ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

বিতরণ কার্যক্রমে উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, এই প্রকল্প সফল হলে দিনে প্রায় ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। এজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) দণি জোনে মোট ৮ লাখ ৪৭ হাজার সিএফএল  বাল্ব দেওয়া হবে। কমলাপুর, মানিকদি, বংশাল, নারিন্দা, বাংলাবাজার, শ্যামপুর, ধলপুর ও ডেমরা থেকে ফতুলল্লা পর্যন্ত এলাকার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪৭০ জন গ্রাহক এ বাল্ব পাবেন। এ জন্য ১৩৪টি বিদ্যালয়ে ৯২৭টি বুথ খোলা হয়েছে।

ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) লাধিক গ্রাহক পাবেন ৫ লাখ ৬৪ হাজার বাল্ব।

ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সালেহ আহমেদ জানান, পুরো মিরপুর ও  গুলশানের একাংশের  বিদ্যুৎ গ্রাহকরা নির্ধারিত ৯১টি বুথ থেকে ২ থেকে সর্বোচ্চ ৪টি করে বাল্ব পাবেন।

ঢাকার বাইরে পিডিবি, ওজোপাডিকো, আরইবিসহ সংশিষ্ট বিতরণ কোম্পানিগুলো শনিবার এ বাল্ব বিতরণ করে।

এদিকে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির মালিকরা ভাড়াটিয়াদের বিদ্যুৎবিল দেখিয়ে সিএফএল বাল্ব সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজধানী নারিন্দা, শেওড়াপাড়া, কল্যাণপুরসহ বেশ কয়েকটি বিতরণ বুথে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির মালিকরা নিজ নিজ বাড়ির ভাড়াটিয়াদের বিলের কপি দিয়ে নিজস্ব লোকের মাধ্যমে সিএফএল সংগ্রহ করছেন।

পশ্চিম শেওড়াপাড়া ইকবাল রোডে অবস্থিত বিতরণ বুথে ৪১৮ নং বাড়ির মালিক নিজের বাড়ির ১৬টি ফ্যাটের বিদ্যুৎ বিলের বিপরীতে ৪০টির বেশি সিএফএল নেন। ওই বাড়ির মালিক নিজে বাজার থেকে সাধারণ বাল্ব কিনে সেগুলো বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে বুথে জমা দিয়ে সিএফএল নেন বলে অভিযোগ পাওযা গেছে। তার ভাড়াটিয়ারা এসব সিএফএল বাল্ব পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম আলমগীর কবির বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি’কে বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ আমি এখনও শুনিনি। তবে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। ’’

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১০
এইচএ/এজে/কেএল/জেএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।