শনিবার (২২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরের শাপলাবাগ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (২৩ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হয়।
ভণ্ড কবিরাজ ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মামার পূর্ব পরিচিত বলে মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেন ধর্ষিতার বাবা। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রথমে মামা পঞ্চম বাউরীকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছ থেকে ভণ্ড কবিরাজ আশিকের মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে পুলিশ। এরপর ফোন ট্রেকিং করে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা ও চাতলাপুর চা বাগানের সাধারণ শ্রমিকরা শুরু থেকেই এ ঘটনার সঙ্গে মামা পঞ্চম বাউরীর জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহ করছিল।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কিশোরীর বাবা ১২ জুলাই কুলাউড়া থানায় কিশোরীর মামাসহ অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার হওয়া মামাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।
পরে মামার কাছ থেকে ভণ্ড কবিরাজের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে পুলিশ। সে নম্বর ট্রেকিং করে শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরের পর থেকে শ্রীমঙ্গল শহরে অবস্থান নিয়ে রাত ৯টার দিকে শাপলাবাগ আবাসিক এলাকা থেকে ধর্ষক আশিককে আটক করা হয়। আশিক শাপলাবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই মো. জহিরুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে আশিক। রাতেই তাকে কুলাউড়া থানায় নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর চা বাগানে চিকিৎসার ফাঁদে ফেলে ভণ্ড কবিরাজ আশিক চা শ্রমিক কিশোরীকে ধর্ষণ করে চা বাগানের প্লান্টেশন এলাকায় ফেলে পালিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
এজেড/আরবি/