ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাঁটার জায়গা নেই ফুটপাতে, ওঠার যো নেই যানবাহনে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
হাঁটার জায়গা নেই ফুটপাতে, ওঠার যো নেই যানবাহনে রাস্তায় থমকে আছে যানবাহন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রোববার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশে রাস্তায় মানুষের ধৈর্যসীমা একেবারে শেষ পর্যায়ে। পায়ে হাঁটা মানুষ আর গণপরিবহনে চলাচলকারী মানুষদের ভোগান্তির ষোলকলা পূর্ণ।যাকে বলে চরম ভোগান্তি। 

প্রথমত বিকেলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। একারণে বিকেল ৪টা থেকেই আটকানো উত্তরা থেকে মহাখালীর দিকে আসার রাস্তাটি।

তাই সন্ধ্যার সময়েও যানজটের কারণে ভুগছে শত শত মানুষ। গাড়ি একেবারেই নড়ছে না আর জ্যামটি গিয়ে ঠেকেছে উত্তরা পর্যন্ত। আর মহাখালী পর্যন্তও গাড়ি চলছে থেমে থেমে।  

এদিকে রাস্তায় জাতীয় পার্টির জনসমাবেশ চলাকালীন অবস্থায়ই বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবার রাস্তার একই পাশে অর্থাৎ এয়ারপোর্ট রেল স্টেশনের সামনের অংশে ফুটপাতের পাশে সংস্কারের কাজে ড্রেনের উপর থেকে ঢাকনা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ড্রেনের ময়লা উঠিয়ে রাখা হয়েছে ফুটপাতের কিছু অংশজুড়ে। শুধু তাতেই শেষ না। বিশাল চওড়া নবনির্মিত ফুটপাতটির সিংহভাগ দখল করে আছে বিভিন্ন আইটেমে সজ্জিত হকারদের ভ্যানগাড়ি। বৃষ্টির কারণে বন্ধ থাকলেও বৃষ্টি শেষে তা খুলে যায়। তাই ফাঁকা হয় না পথচারীদের জন্য তৈরি করা হাঁটার পথটুকু।  

একদিকে ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ বসে আছে যানবাহনে। অন্যদিকে ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ দাঁড়িয়ে ফুটপাতের নোংরা পরিবেশের পাশে। বৃষ্টির পানিতে বর্জ্য ভেসে ঠেকছে  মানুষের পায়ে পায়ে। আর যারা হেঁটে চলছেন তারাও আটকে আটকে হাঁটছেন ফুটপাত ধরে। আবার গণপরিবহন ভরে গিয়েছে কানায় কানায়। তাতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। । ওঠার উপায় নেই। বৃষ্টিতে ভিজে বাসের অপেক্ষা ছাড়া কোন কাজ নেই।

ভোগান্তির সীমা চরমে থাকায় মেজাজ খারাপ সবার। তাই সাংবাদিক পরিচয়েও ভোগান্তির কথা বলতে চাইছেন না বেশিরভাগ মানুষ।  রাস্তায় থমকে আছে যানবাহন।  ছবি: বাংলানিউজপ্রাইভেট ফার্মে কাজ করেন ইশতিয়াক। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, পত্রিকায় লেখে কি হবে ভাই? যারা সমাধান করবেন তারা রাস্তায় গাড়িতে বসে বসে আসেন। তাদের রাস্তা খালি করে দিতে আমরা আটকে থাকি। কিন্তু আটকে একটু বসার জায়গাও পাই না আমরা। আর এ জন্যই তাদের ভোট দিই। দুই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। বাসে ওঠার উপায় নাই। আর ফুটপাতের কথা বলার কোনো জো নাই।

আব্দুল্লাহপুর থেকে দুপুর সাড়ে তিনটায় জাবালে নূর বাসে উঠেছেন হামিদ। সন্ধ্যার সময় তিনি বসে আছেন বাসে এয়ারপোর্টের সামনে।  

তিনি বলেন, যাবো মিরপুর। সাড়ে তিনটা থেকে তিন ঘণ্টায় এয়ারপোর্ট এসেছি। এরপর কী হবে জানি না। অফিস শেষে বাসায় তাড়াতাড়ি ফিরবো বলে আগে বেড়িয়েছিলাম। এখন সবই উপরওয়ালার ইচ্ছা। আমাদের কষ্টের কথা কারো কান পর্যন্ত পৌঁছাবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এমএএম/মাসুদ আজীম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।