মাইকিং করার পর বাড়িটি থেকে দুই শিশু কোলে করে দুই নারী বেরিয়ে আসেন। পরে তাদের আটক করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নেয় পুলিশ।
এরা হলেন, গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী রজনী খাতুন (৩০) ও তার মা পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের বরকত আলীর স্ত্রী মরিয়াম খাতুন (৪৫)। এর আগে বাড়ির মালিকের ছেলে কলেজছাত্র হাসিবুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
দুপুর ১২টার সময় পুলিশ সুপার আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই বাড়ির ভেতরে ঢুকে ব্যাপক তল্লাশি চালান। তবে কোন কিছু উদ্ধার হয়েছে কিনা পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। পরে অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বাড়িটির মালিক মেসকাত আলী প্রায় ১৪ বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। তার স্ত্রী গেনীয়ারা মারা গেছেন প্রায় ২ বছর আগে। বর্তমানে তার ছেলে কলেজছাত্র হাসিবুল ইসলাম বাড়িটির দেখাশোনা করেন। তিনি ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্র।
বাড়ির নিচ তলার ভাড়াটিয়া শ্যামলী খাতুন বাংলানিউজকে জানান, তারা ১৫ দিন হলো এ বাড়িটিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে এসেছেন। তাদের স্বামীরা মাঝে মধ্যে এসে হাট-বাজার করে দিয়ে যেতেন। তবে তারা কখনো বাইরে বের হতেন না।
তিনি আরো জানান, মাঝে মধ্যে বোরখা পরিহীতা নারীরা আসতেন তাদের কাছে। সেসব দলে ৪ জন কখনো ৫ জন করে থাকতো।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার ( এসপি) আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সকাল ১০টা ৩৭ মিনিট থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে। আশপাশের লোকজনকে মাইকিং করে সরিয়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদেরও একটি নিরাপদ দূরত্বে অবস্থানের জন্য সর্তক করে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
দুপুর ১২টার সময় অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করলেও বর্তমানে সেখানে পুলিশ পাহারা রয়েছে। তবে এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন করে জঙ্গি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
অভিযান শেষে পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বলেছেন, কয়েকদিন আগে থেকে ওই বাড়িটিতে সন্দেহভাজন লোকজন-নারীদের ঘোরাফেরা দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। শনিবার (২২ জুলাই) সকাল থেকেই পুলিশ বাড়িটির আশপাশে অবস্থান নেয়। পরে অভিযান শুরু হয়।
আটক ওই বাড়ির মালিকের ছেলে হাসিবুল ইসলামসহ দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা আদৌ জঙ্গি কিনা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
** গাংনীতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ২২ জুলাই, ২০১৭
আরএ