গত ১৭ জুলাই বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় জবি শিক্ষার্থীদের বহনকারী দোতলা তিনটি বাসকে উল্টোপথে যেতে বাধা দেয়ায় ছাত্রদের মারধরের শিকার হয়েছিলেন পুলিশ সার্জেন্ট কায়সার হামিদ।
এ ঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জন ছাত্রকে আসামি করে রমনা থানায় একটি মামলা (নম্বর-২৬) দায়ের করেন তিনি।
এরপর থেকে বেশ কয়েকবার ট্রাফিক সার্জেন্ট কায়সার হামিদকে মোবাইল ফোনে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে, মামলার বাদী ডিএমপি ট্রাফিক (দক্ষিণ) বিভাগের পুলিশ সার্জেন্ট কায়সার হামিদ বাংলানিউজকে বলেন, ১৮ জুলাই দুপুরে আমি মামলাটি করেছি। ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকে আমার মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে।
মোবাইলে ফোনে আমাকে বলা হয়েছে যে, সার্জেন্ট সাহেব মামলাটি তুলে নেন, নয়তো পরে আপনারই সমস্যা হবে। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে, তারা পরিচয় দেননি। এরকম আরও বেশ কয়েকটি ফোন আসে এবং একই কথা বলা হয়। আমি তাদের সামনে এসে কথা বলতে বলি। তখন তারা ফোনের লাইন কেটে দেন।
কায়সার হামিদ আরও বলেন, বাংলামোটর সিগন্যালে জবির তিনটি বাস উল্টোপথে যেতে চাইলে সেখানে বাধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা নিচে নেমে এসে আমাকে ঘিরে ধরে মারধর ও পুলিশের পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া করেন।
ওই সময় বাস তিনটির কারণে রাস্তায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বাংলামোটরের দায়িত্বরত পুলিশের ইন্সপেক্টর (ট্রাফিক) দেলোয়ার হোসেন ও সার্জেন্ট আনিসুল হকসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
তিনি বলেন, নগরীর প্রতিটি মানুষ যদি সচেতন হয় এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলেন তবে রাস্তায় যানজট থাকবে না। কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু চালকরা ট্রাফিক আইনের কোনো তোয়াক্কা করেন না। এতে আমাদের কষ্ট বেশি হয় এবং পাবলিকের সঙ্গে মন কষাকষি হয়।
ডিএমপির রমনা বিভগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার হুমকির ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এসজেএ/এমজেএফ