দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। আইনের প্রচারের অভাব এবং জনসচেতনতার অভাবেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলানিউজকে বলেন, সরকার তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীরা যেন ধূমপান থেকে দূরে থাকে সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
বৈশ্বিক পর্যায়েও ধূমপানের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন তিনি। গেলো বছরের নভেম্বরে চীনের সাংহাইয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনে কোনো ধূমপায়ীকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে চিঠি দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন নাসিম।
মন্ত্রী নিজে বা তার পরিবারের কোনো সদস্য ধূমপান করেন না-এই তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের মানোন্নয়নের দায়িত্ব নিয়ে কোনো মন্ত্রীর ধূমপানের অভ্যাস থাকা অনৈতিক। এক্ষেত্রে সব দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধূমপান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এছাড়াও গত বছর থেকেই ধূমপায়ী শিক্ষার্থীদের মেডিকেলে ভর্তি করা হবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি।
দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নেওয়া বন্ধ করতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়ার পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করছে সরকার। ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সংবলিত সিগারেটের সচিত্র মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমানে সিগারেটের প্যাকেটের নিচের অংশে এই সতর্কতা ব্যবহার করা হলেও, উপরের অংশেই যেন করা হয়, সে বিষয়ে কাজ চলছে। অনেকেই সিগারেটের ওপরের ক্ষতিকর ছবি দেখে সিগারেট কেনা থেকে বিরত থাকছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মিডিয়াতে এখন আর তামাকের কোনো বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয় না। বরং তামাকের বিরুদ্ধে প্রচারণা বাড়ানো হয়েছে।
গত বাজেটে তামাকের মূল্যে ১ শতাংশ আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। যে অর্থ তামাক ব্যবহারের কারণে অসুস্থদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করতে বিকল্প শস্য চাষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
ডা. আজাদ বলেন, সম্প্রতি শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনার বাংলাদেশ সফরের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেখানেও তামাক নিয়ন্ত্রণে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এমএন/আরআর