ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দোকানের সামনে ধূমপান, ক্ষতি অন্যদেরও

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
দোকানের সামনে ধূমপান, ক্ষতি অন্যদেরও দোকানের সামনে ধূমপান, ক্ষতি অন্যদেরও- ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ কথা সবারই জানা। জনসম্মুখে ক্ষতি আরও। তবে থেমে নেই জনসম্মুখে এর ব্যবহার। যদিও রয়েছে আইন। এর কোনো তোয়াক্কাই নেই ধূমপায়ীদের মধ্যে।

পথ-ঘাট, টঙ দোকান থেকে শুরু করে বড় দোকানগুলোতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে বিড়ি, সিগারেট। তবে ঢাকায় বেশি চলে সিগারেট।

ধূমপায়ীরা দোকান থেকে পছন্দের ব্র্যান্ড সিগারেট কিনেই মুখে ধরিয়ে নিচ্ছেন। একবারও চিন্তা করছেন না তার পাশে যিনি ধূমপায়ী নন, নারী বা শিশু তার কাছে বিষয়টি কতটা সমস্যা বা কষ্টের!

সিগারেট বিক্রেতারাও আইন সম্পর্কে তেমন একটা অবহিত নন। কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট রাখেন মো. জহির। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আইনে কী আছে জানি না। কাস্টমার চায়, আমরা বিক্রি করি। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর একথা তো প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে। কাস্টমার সেটি দেখেও তো খাচ্ছেন আমার কী করার আছে!

রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় এক টঙ দোকানের সামনে সিগারেট খাচ্ছিলেন মো. রফিক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আইন করে কি সিগারেক খাওয়া বন্ধ করতে পারা যাবে? আমার যখন ইচ্ছে করবে তখন সিগারেট কিনবো, খাবো। ভালো লাগে খাই, এর বেশি কিছু জানি না।
দোকানের সামনে ধূমপান, ক্ষতি অন্যদেরও- ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা
ধূমপান নিরুসাহিত করতে ও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করতে ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন করা হয়। আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকাশ্যে ধূমপান অপরাধ নয়। তবে পাবলিক প্লেসে (যেমন: সিনেমা হলের সামনে, বাস, বাস স্টেশন, ট্রেন স্টেশন, মার্কেট বা দোকানের সামনে) ধূমপান করা অপরাধ।

তামক নিয়ন্ত্রণে কেউ আইন ভঙ্গ করলে অনধিক এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে দ্বিগুণ হবে তার দণ্ডের পরিমাণ।

তবে আইনের ধার কাছেও নেই ধূমপায়ীরা। শুধু পাবলিক প্লেসই নয়। হাট, বাজার, রাস্তা-ঘাট সবখানেই খোলামেলা ভাবেই চলছে ধূমপান। আর যাদের আইনের প্রয়োগ করার কথা তাদের মধ্যেই যখন রয়েছে ধূমপায়ী!

দোকানগুলোর সামনে অবাধে ধূমপান করায় ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীরা পরক্ষোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে শিশুরা ফুসফুসসহ নানাবিধ সমস্যা ভুগছে। অনেক নারী পড়ছেন ভোগান্তিতে।

সরকারিভাবে ধূমপান নিরুসাহিত করতে সব তামাকজাত দ্রব্যের ওপর বাড়তি কর আরোপ করা হচ্ছে প্রতি অর্থবছরেই। তাতেও কাজ হচ্ছে না। সরকারিভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধ না করলে দাম বাড়িয়ে কাজে আসবে না বলে জানান, মিজানুর রহমান নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, আমরা দোকানে এক কাপ চা খেতে গেলে ধোঁয়ার কারণে বসতেও পারি না। একটি দোকানে পাঁচজন কাস্টমার থাকলে তার তিনজনই ধূমপান করেন বলে মনে করি। এভাবে দোকানের সামনে ধূমপান বন্ধ করা উচিত; কারণ সেটাও তো একটা পাবলিক স্থান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এসএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।