ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুট পারাপারে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুট পারাপারে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন

ভোলা: ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে একটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় উভয় পাড়ে দেড় কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে অন্তত দুই শতাধিক যানবাহন।

৮ দিনেও বিকল ফেরি কৃষাণি চালু না হওয়ায় দিন দিন এ জট বাড়ছে। এতে নির্ধারিত সময়ে পরিবহনগুলো পৌঁছাতে না পারায় ঘাটেই নষ্ট হচ্ছে ওই সব গাড়িতে থাকা কাঁচামাল।

কবে নাগাদ ফেরি চলাচল শুরু হবে তা জানে না শ্রমিকরা।
 
জানা গেছে, ভোলার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুট। গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে কনকচাঁপা, কুসুমকলি এবং কৃষাণি নামে তিনটি ফেরি চলাচল করে। কিন্তু ১০ জুলাই কৃষাণি নামের ফেরিটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে যায়। এতে তিনটির জায়গায় দু’টি ফেরি চলাচল করায় উভয় পাড়ে গাড়ির দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে। ঘাটে দিনের পর অপেক্ষা করতে হচ্ছে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পরিবহনগুলোকে।

শ্রমিকরা জানান, ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে দু’টি ফেরি দিয়ে জট কমানো সম্ভব হচ্ছে না। পারাপারের জন্য একেকটি ট্রাককে গড়ে ৭/১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঘাটে অপক্ষেমান ট্রাকগুলোতে কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য থাকায় তা পচন ধরতে শুরু করেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
 
ভোমরা স্থলবন্দর থেকে আসা ট্রাক চালক রানা ও সিলেট থেকে আসা শামিম বলেন, ৫ দিন ধরে চাল এবং কাঁচামাল নিয়ে ঘাটে বসে রয়েছি কিন্তু ফেরির দেখা পাচ্ছি না।

ট্রাক চালক মোস্তফা জানান, সারাদিনে ফেরি মাত্র দুই বার চলছে, এতে দুই রাউন্ডে অল্প কিছু গাড়ি পারাপার হচ্ছে। ফেরির ট্রিপ বাড়ানো হলে জট কমে যেতে।

আরেক চালক মহিউদ্দিন বলেন, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে গাড়ির লাইনও দীর্ঘ হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা অংকুর বলেন, ভোলা অংশে দুই কিলোমিটার জুড়ে পরিবহনের দীর্ঘ লাইন। এতে দিন দিন ভোগান্তি বাড়ছে।

ভোলার ইলিশা ফেরি ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ভোলা-ইলিশা সড়কে কাঁচামাল, চাল, গরু, মহিষ, গ্যাস, কাঠসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন। সড়কের পাশেই অলস সময় পার করছেন চালক ও শ্রমিকরা। প্রচণ্ড গরমে পুড়ে নাকাল অবস্থা তাদের। একেকটি ট্রাক ঘণ্টার পর ঘণ্টা আর দিনের পর দিন ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কেউ পার হতে পারছে না।

ট্রাক চালকরা জানান, গন্তব্যে পৌঁছতে না পারলে ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুণতে হবে। নষ্ট হয়ে যাবে কাঁচামাল।
শুধু ফেরি বিকল নয়, জোয়ারের পানির স্রোতের কারণেও দিনে ১/২ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে যানবাহনের লাইন আরো দীর্ঘ হচ্ছে।

ফেরি ঘাটের টার্মিনাল এসিস্ট্যান্ট মো. হেলাল উদ্দিন বলেন,  বর্তমানে ভোলা ইলিশা ফেরি ঘাটে ১৩০টি এবং লক্ষ্মীপুর মজু চৌধুরীররহাটে ১৮০ ট্রাকের দীর্ঘ লাইন রয়েছে। এ জট কমানোর চেষ্টা চলছে। বিকল ফেরিটি মেরামতে রয়েছে খুব শিগগিরই সেটি সচল হবে। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।  

 বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, ১৮ জুলাই, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।