কিন্তু পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের উভয় ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইনে এখনো অপেক্ষমাণ আছে ছয় শতাধিক যানবাহন। যার বেশিরভাগই পণ্যবাহী ট্রাক।
আর ট্রাকগুলোকে মাঝে মাঝে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দুই থেকে তিনদিন। এতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওই নৌরুটে চলাচলকারী নিয়মিত যানবাহন চালক ও সাধারণ যাত্রীরা।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া নৌরুট সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট কার্যালয় বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ২ নম্বর ঘাট পন্টুনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো।
প্রায় ৫ দিন পর সোমবার দুপুরে ওই ঘাট পন্টুনটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তবে নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় গত কয়েকদিন ধরেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ যানবাহন থাকছেই।
সবশেষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সাড়ে তিনশ’র মতো যানবাহন নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। যার মধ্যে আড়াইশ’র মতো পণ্যবাহী ট্রাক। বাকিগুলো যাত্রীবাহী বাস। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। আর পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে দু’টি ফেরি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক সুবল সরকার বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকালে রো রো (বড়) ফেরি খান জাহান আলী ও ইউটিলিটি কুমারী নামের ফেরি দু’টি মেরামত কারখানায় এসেছে। দ্রুতই ফেরি দু’টির মেরামত কাজ সম্পন্নের প্রস্তুতি চলছে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) দেলোয়ার হোসেন জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাস ও ট্রাক মিলে প্রায় তিনশ’র মতো যানবাহন অপেক্ষমাণ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
জেডএস