ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন চলতি মাসেই - আইনমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১০

ঢাকা : চলতি মাসেই একটি স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হবে। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংগঠন আরডিআরএস বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।



আইনমন্ত্রী বলেছেন, ১ জন চেয়ারম্যান ও ৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন।

‘জেলা আইন সহায়তা তহবিলের কার্যকর ব্যবহার’ শীর্ষক এই জাতীয় সেমিনারে আইনমন্ত্রী বলেন,
দরিদ্র মানুষকে আইনগত সহায়তা দিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরইধ্যে ৭টি জেলায় পাইলট প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে।

ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার কিছু কার্যবিধি পরিবর্তন করলেই মামলা করার ঝামেলা অনেক কমে যাবে। এর পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থারও পরিবর্তন করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, লিগাল সাপোর্ট সম্পর্কে মানুষকে জানানোর দায়িত্ব মিডিয়ার। এ সম্পর্কিত প্রচার চালানোর জন্য প্রতিটি জেলায় তথ্য বিভাগ চালু করা হবে বলে আইনমন্ত্রী জানান।  

সেমিনারে জাতীয় মহিলা পরিষদের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, দেশে অনেক আইন থাকলেও তার সঠিক প্রয়োগ নেই। যারা ‘পারিবারিক নির্যাতন’ শিকার হন আইনি সহায়তা পাওয়াটা তাদের মৌলিক অধিকার, কিন্তু আমরা যখন তাদের সঙ্গে কথা বলি, তখন মনে হয় আমরা তাদের দয়া করছি। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
 
সেমিনারের আরেক বক্তা তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী দেশের প্রতিটি জেলায় মানুষকে আইনি সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ জানে না, কোথায় গেলে তাদের সমস্যার সঠিক সমাধান হবে। এ ব্যাপারে চলচ্চিত্র, রেডিও ও যাত্রাপালার মাধ্যমে প্রচার চালানো যেতে পারে।  

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক সাবেক উপদেষ্টা এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশের সব জেলায় লিগাল এইডের টাকা সমান ভাবে যায় না। সরকারের কাছ থেকে বিনা খরচে আইনগত সহায়তা পাওয়া মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আইন রাষ্ট্রীয় একটা ব্যবস্থা। সরকার রাষ্ট্রের হয়ে জনগণের কাছে আইন পৌঁছে দেয়। গণতান্ত্রিক সমাজে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন অবশ্যই আমরা আশা করবো।

সেমিনারে ব্রিফিং নোট পাঠ করেন আরডিআরএস বাংলাদেশের নারী অধিকার সমন্বয়কারী মঞ্জুশ্রী সাহা। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। সেমিনারে সমাপনী বক্তৃতা করেন পরিবেশবিদ এবং আইনজীবী রেজওয়ানা হাসান।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬৪২ ঘণ্টা, জুন ১৯ ২০১০
জেএ/এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।