নিলামের জন্য ডাকা দরপত্রে সুস্থ-সবল গাছকে মাথা ভাঙা, কাটা বা ঝড়ে ভাঙা হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বাচ্চুর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৭ জুলাই) গাছ নিলামের দরপত্র বিক্রির শেষ দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
দরপত্রে আটটি লটে মোট ১২৭টি গাছ মরা, মাথা ভাঙা, কাটা ও ঝড়ে পড়া দেখানো হয়েছে। অথচ এর মধ্যে প্রায় ৯০টি সুস্থ, সবল, পরিবেশ বান্ধব ও ছায়াদানকারী বনজ বৃক্ষ রয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, চত্বরের প্রতিটি সুস্থ, সবল গাছের গায়ে নিলামের জন্য নম্বর লাগানো হয়েছে। এসব গাছের অধিকাংশই ছায়াদানকারী, সুস্থ ও অপরিপক্ক। উপজেলার গোলচত্বর হয়ে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত সড়কে মোট পাঁচটি মরা গাছ, তিনটি ঝড়ে পড়া ও নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য আরো তিনটি গাছ কাটা হয়। যা ওই ভবনের সামনে রাখা আছে। এছাড়া নিলামের জন্য নম্বর সাটানো সব গাছই সুস্থ। আবার কিছু গাছ অপরিপক্ক।
উপজেলা পরিষদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, পরিষদ চত্বর বালু দিয়ে উঁচু করায় সেখানে কোনো নতুন গাছ লাগালে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সে কারণে যেসব গাছ আছে সেগুলো যত্নে রাখা দরকার। সুস্থ গাছগুলো নিলামের তালিকা থেকে বাদ দেয়া উচিত। এছাড়া সুস্থ সবল গাছগুলো এখানে আসা জনগণকে ছায়া দেয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই গাছগুলো কাটা ঠিক হবে না।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মোহা. বশিরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী মরা গাছ নিলাম দেয়া হয়েছে। তবে যদি নিলামের মধ্যে সুস্থ-সবল গাছ থেকে থাকে, তাহলে পুনরায় নিলাম প্রক্রিয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এসআই