ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিক্রিত পশু ফেরত নেওয়া হবে গাবতলী হাটে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
বিক্রিত পশু ফেরত নেওয়া হবে গাবতলী হাটে! গাবতলী হাটে পুড়ে যাওয়া অংশ মেরামত না করেই রাখা হচ্ছে পশু- ছবি- সুমন শেখ

ঢাকা: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে রাজধানীর গবাদি পশুর হাটগুলো। দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে শুধুমাত্র উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৯টি হাট প্রস্তুতের কথা রয়েছে। এর মধ্যে গাবতলী পশুর হাট ছাড়া বাকিগুলো আস্থায়ী। 

গাবতলীর হাট ঘুরে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া অংশের ক্ষত সারিয়ে উঠতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ইজারাদাররা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এরইমধ্যে গবাদি পশু আসা শুরু হয়েছে গাবতলীর হাটে।

তবে মূল চালান আসবে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে।

এ বছর হাসিল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ শতাংশ। গাবতলীর হাটে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে ৠাব ও পুলিশের ওয়াচ টাওয়ারসহ নিরাপত্তা বেস্টনি ছাড়াও থাকবে ইজাদারদের পক্ষ থেকে ৭০০ থেকে ৮০০ জন ভলান্টিয়ার। যারা সার্বক্ষণিক পশুর হাটের সার্বিক নিরাপত্তাসহ কাস্টমার সার্ভিসের কাজ করবেন।

বরাবরের মতো সিসি ক্যামেরা ও জাল নোট সনাক্তকরণ যন্ত্রেরও ব্যবস্থা থাকবে। ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা হিসেবে হাট থেকে ক্রয়কৃত পশু বের হওয়ার আগে চাইলে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানিয়েছেন ইজারাদাররা। আর পশুর দাম সরকারি নীতিমালা অনুযায়ীই হবে।  
  
ইজারাদার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বাইরে থেকে যারা গরু নিয়ে এরইমধ্যে গাবতলীতে এসেছেন, আরও যারা আসবেন তাদের থাকার আবাসিক ব্যবস্থা করেছেন হাট মালিকরা। এছাড়া হাট শুরু হওয়ার ১০ দিন আগে থেকেই ফেরিওয়ালাসহ অস্থায়ী কোনো ব্যবসায়ী থাকতে পারবেন না বলে জানা গেছে।

পঞ্চগড় থেকে আসা ব্যাপারি শাহীন মোহাম্মদ বলেন, আমাদের থাকতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কোরবানির চালান এখনো আনা হয়নি। ঈদের আগে আনবো। অন্যবার থাকার জায়গা অনেক আগে থেকেই বেদখল হয়ে যায়। এবার এখনও তা দেখছি না।  

অন্যান্য বছরের মতো পশুর হাটের জন্য গাবতলীতে সৃষ্ট যানজট দূর করার লক্ষ্যে এরইমধ্যে হাটের চারপাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে গত ২৯ জুন শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ভগ্নস্তূপের দ্রুত মেরামত চেয়েছেন হাট মালিকরা। যা এখনও আগের দশাতেই আছে।   

জানতে চাইলে গাবতলী পশুর হাটের পরিচালক মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, পশু হাটকে সম্পূর্ণ নিরাপদ আর সরকারের নির্ধারিত মূল্য রাখাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রশাসন ছাড়া আমাদের ৭০০ বা ৮০০ জন ভলান্টিয়ার থাকবেন। সিসি ক্যামেরা ও জাল নোট সনাক্তকরণ যন্ত্র আমাদের হাতে রয়েছে। শুধু আমাদের ওই পোড়া অংশের দ্রুত মেরামতের আবেদন সরকারের কাছে।

বিক্রিত পশু ফেরত নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিক্রিত পশু ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে খুব জোর দিচ্ছি। অনেক ক্রেতারই পশু কেনার পর নিজেদের মধ্যে দ্বিমত সৃষ্টি হয়। পূর্ব অভিজ্ঞতায় দেখেছি এর কারণে হাটে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ কারণে হাট থেকে বিক্রিত পশু বের হওয়ার আগেই কেউ ফেরত দিতে চাইলে ব্যাপারিরা ফেরত নিতে বাধ্য থাকবেন।
তাছাড়া দালালের দৌরাত্ম্য এবার একেবারেই থাকবে না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

পাবনা থেকে আসা জিলহক ব্যাপারি বাংলানিউজিকে জানান, আমি আগে এসেছি শুধু পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য। সব ভালো থাকলে ঈদের আগে মূল চালান আনবো। অবস্থা দেখে ভালোই মনে হচ্ছে। নিয়ম কানুন আগের থেকে কড়া দেখা যাচ্ছে।

ডিএনসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, আমাদের ৯টি হাটের টেন্ডার হয়েছে, এখনও ফাইনাল হয়নি। গাবতলীর ব্যাপারে আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির জন্য মেরামতের কাজ দ্রুত শুরু হবে। শেষও হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।