ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মানিকগঞ্জে দুর্ঘটনায় ২ সচিব নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলার চার্জশিট

জাহিদুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১০
মানিকগঞ্জে দুর্ঘটনায় ২ সচিব নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলার চার্জশিট

সাভার: মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সচিবের মৃত্যুর ঘটনায় বাসের চালকের লাইসেন্স জাল ছিলো। বাস কর্তৃপরে কাছে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি।

তদন্তে এমন তথ্য বেড়িয়ে আসার পর ওই দুর্ঘটনাকে ‘হত্যাকা-’ উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে (আমলি আদালত-৩) আদালত পরিদর্শকের মাধ্যমে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) বরংগাইল হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম ভূইয়া। আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে আগামী রোববার শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।

গত ৩১ জুলাই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রাজিয়া বেগম এবং বাংলাদেশ কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তাদের দেহরী ও গাড়ির চালক।

হত্যাকান্ডের অভিযোগে আদালতে চার্জশিট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বরংগাইল হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘বাস চালক হত্যার উদ্দেশেই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্তে নিশ্চিত হয়ে আমরা হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছি। ’

তিনি জানান, বাংলাদেশ দ-বিধির ২৭৯/৩০২/৩৩৮(ক)/৪২৭ ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এতে বেপরোয়া ও বিপজ্জনক গতিতে যানবাহন চালিয়ে হত্যা, গুরুতর জখম ও তিসাধনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুর্ঘটনার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর প্রসঙ্গে বরংগাইল হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন,‘চালকের যেহেতু লাইসেন্স ছিলো না তাই তার বিরুদ্ধে দুর্ঘটনাজনিত অপরাধে অভিযোগপত্র প্রদানের কোনো সুযোগ নেই। লাইসেন্স না থাকা সত্বেও চালক বেশে গাড়ি চালিয়ে সে সরকারের দুই উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে হত্যা ও অপর দু’জনকে গুরুতর জখম করেছে। ’

ঘটনার দিন রাজিয়া বেগম ও সিদ্দিকুর রহমান একটি পাজেরো গাড়ি যোগে (ঢাকা ১৪৮-য়) গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানে যাবার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন।
বিপরীতমুখো ঢাকাগামী ‘দ্রুতি পরিবহনের’ একটি বাসের সঙ্গে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-১৮৫৩) তাদের বহনজকারী পাজেরো জিপটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

ওই ঘটনায় বাংলাদেশ কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) সহকারী মহা ব্যবস্থাপক সামছুল হক বাদী হয়ে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করলে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় বরংগাইল হাইওয়ে থানাকে।

মামলার অগ্রগতি পর্যবেণে পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে সার্বণিক মনিটরিংও করা হয়।
 
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম ভূইয়া বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, দুর্ঘটনার পর গত ২ আগষ্ট বাসের চালক আনোয়ার হোসেন আদালতে আতœসমর্পণ করেন। প্রথমে পুলিশের কাছে আশুলিয়ায় নিজ বাড়ির একটি ভূয়া ঠিকানা দেন তিনি।
পরে অনুসন্ধানে করে জানা যায়, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার কামারখোলা গ্রামের মৃত মো: হানিফের ছেলে তিনি।

বর্তমানে তিনি জেল হাজতে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময় ২১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।