বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামে আনোয়ার মুন্সির বাড়িতে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ আক্রান্ত পরিবারের ৩ জনকে আটক করেছে।
শুক্রবার প্রকাশ্য দিবালোকে ওই হামলার সময় সন্ত্রাসীরা মুন্সির বাড়ির লোকজনকে মারপিট ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় তার ছেলে দুলাল, বেলাল, সহিদ ও মেয়ে তাছলিমা আহত হন।
এলাকাবাসী ও আক্রান্তদের সূত্রে জানা যায়, চাঁদার দাবিতে থানা চত্বরে ফেলে মারপিটের পর জোরপূর্বক চেক লিখে রাখার ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেওয়া ও সংবাদ সম্মেলন করার কারণে উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্যালক মহিমের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একদল সশস্ত্র ক্যাডার এ হামলা চালায়। স্থানীয় থানা পুলিশ হামলাকারীদের প নিয়ে তিগ্রস্থ পরিবারের ৩ জনকে আটক করেছে। এমনকি আহতদের হাসপাতালে ভর্তি হতেও দেয়নি পুলিশ।
জানা যায়, আনোয়ার হোসেন মুন্সির বিদেশ ফেরত ছেলে আলমগীরকে শরণখোলা থানার জনৈক দারোগার সহায়তায় ৯ আগষ্ট থানা চত্বরে ফেলে উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্যালক মহিমসহ কয়েকজন মারপিট করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এ সময় তারা ৫০ হাজার টাকার চেকে স্বার করিয়ে নেয়। পরদিন আলমগীর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে সাংবাদিক সন্মেলন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মহিম, হাফিজুর ও শাহিনের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল শুক্রবার দুপুরে আনোয়ার মুন্সির বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর তারা থানায় গিয়ে উল্টো হাফিজুরকে মারপিটের অভিযোগ করে। পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃদ্ধ আনোয়ার হোসেন ও তার ২ ছেলে দুলাল ও সহিদকে আটক করে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ‘হাফিজুর রহমানকে মারপিট করায় আনোয়ার হোসেন, দুলাল ও সহিদকে আটক করা হয়েছে। ’
এরপর তিনি সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১০